কলকাতার মেয়ো রোডে তৃণমূলের কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে তৈরি ধরনা মঞ্চে মমতা বলেন, কোন দিন চিফ মিনিস্টার চলে আসছে, কোনও দিন হোম মিনিস্টার চলে আসছে, কোনও দিন ওই আরেকটা মিনিস্টার চলে আসছে, কোনও দিন চাড্ডা, নাড্ডা, ফাড্ডা, গাড্ডা, ভাড্ডা চলে আসছে।
একা প্রোগ্রাম করবে, কেউ আর করবে না। আর যেদিন করবে লোক যদি না আসে তাহলে নিজে সাজিয়ে রাখবে কী করে ন্যাশনাল নিউজে ভাল করে দেখায় যে দেখো আমায় মেরেছে। আহা রে…’
আরও পড়ুন: ঘুমের ওষুধ বন্ধের পর ফিরছে চেতনা, সঙ্কটজনক হলেও স্থিতিশীল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
মমতার ভাষার সমালোচনা করে বিকেলে নিউটাউনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নড্ডা বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনামলে বাংলার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি রসাতলে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখের ভাষাই ওর মানসিকতার পরিচয় দেয়। আমি শুনলাম উনি আমাকে অনেক নাম দিয়েছেন। মমতাজি, এটাই বলে দেয় আপনি কোন সংস্কৃতিকে লালন করেন। এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়।’
এদিন নড্ডার ওপর হামলার ঘটনাকে ‘ছোট্ট ঘটনা ঘটে থাকতে পারে’ মমতা বলেন ‘নৌটঙ্কি’ করছে বিজেপি। সঙ্গে বিজেপি সভাপতিকে চাড্ডা, নাড্ডা, ফাড্ডা, গাড্ডা, ভাড্ডা বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। মেয়ো রোডের সভায় বিজেপিকে বিঁধে তৃণমূল নেত্রী বলেন, এত নিরাপত্তা সত্ত্বেও কী করে হামলা হল। এটা পরিকল্পিত ছিল কিনা, পুলিশকে বলেছি পুরোটা এনকোয়েরি করতে। নেত্রী আরও বলেন, বিজেপি বাংলার রাজনৈতিক দল নয়। বিজেপি গুজরাত ও দিল্লির রাজনৈতিক দল। গ্রামে বাইরের কাউকে দেখলেই থানায় জানান।
‘নিজেই নিজেকে থাপ্পড় মারছে আর বলছে মারল কে, তৃণমূল জবাব দেও’। মমতার দাবি, ‘ওরা অকথ্য, কুকথ্য বলে, আমরা সেটা বলি না। ওরা অর্ধসত্য বলে, আমরা সেটা বলি না’।
আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্রের উপর বুলডোজার চালানোর প্রবণতা তৈরি হয়েছে’, Human Right day তে সরব মমতা