অবাধে ভোট নিশ্চিত করতে বাহিনীকে ঘেরাও করতে বলেছি, কমিশনকে জবাব মমতার

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন মমতা৷
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করা নিয়ে তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের দিন কমিশনের নোটিশের জবাব দিলেন মমতা।

গত ৭ এপ্রিল কোচবিহারের জনসভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের উদ্দেশে বলেন, কোনও ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী গন্ডগোল করলে তাদের যেন ঘেরাও করে রেখে পালা করে ভোট দেন মানুষ৷ প্রয়োজনে পুলিশে এফআইআর করতেও বলেন তিনি৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার এই নিদান দেওয়ার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিস পাঠায় নির্বাচন কমিশন৷ এ দিন সেই শো কজ নোটিসেরই জবাব দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী৷

নির্বাচন কমিশনকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সশস্ত্র আধা সামরিক বাহিনীর প্রতি আমার সর্বোচ্চ সম্মান রয়েছে৷ দেশের সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় তাদের যা অবদান, তাকে আমি শ্রদ্ধা এবং প্রশংসা করি৷ ‘ তবে মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে লিখেছেন, গত ৬ এপ্রিল তৃতীয় দফার ভোটের দিন তারকেশ্বরের রামনগরে এক নাবালিকাকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে৷ সেই ঘটনায় তিনি স্তম্ভিত হয়ে যান৷ পুলিশে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছেও এই ঘটনার প্রতিবাদে অভিযোগ জানায় তৃণমূল কংগ্রেস৷ কিন্তু তার পরেও এখনও পর্যন্ত এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন কোনও ব্যবস্থা তো নেয়ইনি, এমন কি, এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে কোনও নির্দেশিকাও জারি করা হয়নি৷

আরও পড়ুন: পার্থ, মনোজ, রাজীব, লকেট, সুজন, দীপ্সিতা, শ্রাবন্তী, লাভলি – দেখুন চতুর্থ দফার তারকা প্রার্থীদের

মমতা আরও অভিযোগ করেছেন, প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় ভোটারদের ভয় দেখানো, একটি নির্দিষ্ট দলকে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে৷ তিন দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে যথাক্রমে ৬, ১৮ এবং ১৩৪টি অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল৷ কিন্তু হাতেগোণা কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড়া কোনও অধিকাংশ অভিযোগেরই সুরাহা হয়নি৷ অথচ বিজেপি-র করা অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যের ডিজি, এডিজি আইনশৃঙ্খলা সহ বিভিন্ন জেলায় পুলিশের বহু পদাধিকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷

মমতা দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনওভাবেই তিনি মানুষকে প্ররোচিত করেননি৷ এমন কি, ঘেরাও বলতে যা বোঝায়, তা না করে তিনি শুধুমাত্র কথার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন মহিলাদের৷ তাঁর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল মানুষ যাতে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ কোনও শক্তিই ভোটারদের বাধা দিলে বা ভয় দেখালে তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলেও দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ফলে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন মমতা৷

আরও পড়ুন: শিশুকে মারের প্রতিবাদ করতেই চলে এলোপাথাড়ি গুলি? কাঠগড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest