Mamata Nandigram Case: কৌশিক চন্দের বেঞ্চ থেকে মামলা সরান, মমতার আইনজীবীর চিঠি প্রধান বিচারপতিকে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নন্দীগ্রাম মামলা বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাস থেকে সরানোর আর্জি জানালেন আইনজীবী সঞ্জয় বসু। শুক্রবার এই মর্মে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলকে তিনি একটি চিঠি দেন। কারণ হিসাবে ওই চিঠিতে বিচারপতি চন্দের অতীত রাজনৈতিক যোগের কথা উল্লেখ করেছেন

ভোট গণনায় কারচুপির অভিযুক্ত তুলে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিচারপতি চন্দের বেঞ্চে ওঠে মামলাটি। সেখানেই শুনানির কথা ছিল। কিন্তু শুনানি হয়নি। এই ধরনের মামলায় অভিযোগকারীকে উপস্থিত থাকতে হয় বলে জানায় আদালত। আগামী বৃহস্পতিবার ওই একই বেঞ্চে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়। তারই মধ্যে ওই মামলার বেঞ্চ বদলের দাবিতে শুক্রবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লেখেন সঞ্জয়। যিনি নন্দীগ্রাম মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর তরফে আবেদনকারী। চিঠিতে সঞ্জয় জানান, বিচারপতি চন্দের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক ছিল। ফলে তাঁর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। তাই মামলাটি অন্য বেঞ্চে সরানো হোক।

হাই কোর্টের ক্ষেত্রে যে হেতু প্রধান বিচারপতিই হচ্ছেন ‘মাস্টার অফ রোস্টার’। তিনিই ঠিক করেন কোন মামলা কোন বিচারপতির বেঞ্চে উঠবে। নন্দীগ্রাম মামলার ক্ষেত্রে তিনি বিচারপতি চন্দকে বেছে নিয়েছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী শুক্রবার প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখেছেন। তবে এই আর্জি প্রধান বিচারপতি গ্রহণ করেন কি না তা দেখার। অন্য দিকে, আইনজীবীদের একাংশ মনে করছে, এই ধরনের বিতর্কের সূত্রপাত হলে অনেক সময় বিচারপতি নিজেই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান। এমন উদাহরণ অনেক রয়েছে। এ ক্ষেত্রেও প্রধান বিচারপতি যদি এই মামলা অন্য বেঞ্চে না পাঠান, তাহলে বিচারপতি চন্দের উপরই নির্ভর করবে মামলার ভবিষ্যৎ।

আরও পড়ুন: টিএমসি সেটিং মাস্টার গো ব্যাক! কৈলাস–বিরোধী পোস্টার পড়ল বিজেপি-র ২ দফতরে

এই পরিস্থিতিতে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বিরুদ্ধেই বিক্ষোভ দেখালেন হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশ। কিন্তু কেন? নন্দীগ্রাম মামলায় বিচারপতি হিসেবে কৌশিক চন্দ দায়িত্ব নেওয়ার পরই ডেরেক ও ব্রায়েন, কুণাল ঘোষের মতো নেতারা বেশ কয়েকটি ছবি ট্যুইটারে শেয়ার করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির লিগাল সেলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন কৌশিক চন্দ। সেখানে তাঁকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পাশেও বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। সেই ছবি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

হাই কোর্ট চত্বরের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে এই বিক্ষোভ। মুখে কালো মাস্ক এবং হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আইনজীবীরা। যদিও এদিন শান্তিপূর্ণভাবেই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন আইনজীবীরা। তবে এদিন আইনজীবীরা যে পোস্টার ব্যবহার করেছেন তাতে লেখা, ‘বিচারব্যবস্থার সঙ্গে রাজনীতি করবেন না’। তবে আইনজীবীদের অন্য অংশ জানিয়েছে, পেশার তাগিদে মক্কেলের হয়ে মামলা লড়তেই পারেন। এতে অন্যায় কিছু নেই।

তবে, এদিন বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানিয়েছেন, আগামী ২৪ জুন হাইকোর্টে নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি হবে ৷ নন্দীগ্রামের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করেছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী ৷ ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮০, ৮০এ, ৮১, ১০০ এবং ১২৩ ধারায় মামলা করা হয়েছে ৷ আদালতের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঘুষ দিয়েছেন। প্রভাব খাটিয়েছেন। জনগণের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন। ধর্মের ভিত্তিতে ভোট চেয়েছেন। সরকারি আধিকারিকদের সাহায্য নিয়েছেন এবং বুথ দখল করেছেন।

আরও পড়ুন: চালু হল PUBG বা Battlegrounds Mobile India, কীভাবে ডাউনলোড করবেন?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest