Site icon The News Nest

গৃহবধূদের জন্য ১ সেপ্টেম্বর থেকে ‘লক্ষীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প চালু, নাম লেখাবেন কীভাবে? জানুন

cash 2

রাজ্যের গৃহবধূদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে তুলতে ভোটের আগেই ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এর ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরই তা নিয়ে তৎপরতা শুরু করেছিলেন মমতা। আর সেই সূত্রেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, বাংলার মহিলারা ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের সুবিধা পেতে শুরু করবেন ১ সেপ্টেম্বর থেকেই। মন্ত্রিসভায় গৃহীত হয়েছে এই প্রস্তাব। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১৬ অগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর চলবে ‘দুয়ারে সরকার’, এখানে দরখাস্ত নিয়ে গেলে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত হবে। এই শিবিরে খাদ্য সাথী, স্বাস্থ্য সাথী,কন্যাশ্রী, রূপশ্রী সব প্রকল্পের জন্যই নাম নথিভুক্ত করা হবে।

নবান্ন থেকে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‌লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুবিধা পেতে শুরু করবেন মহিলারা। তার জন্য দিতে হবে দরখাস্ত। দুয়ারে সরকার শুরু হচ্ছে ১৬ অগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর। সেখানে মা–বোনেরা আবেদন করবেন। তপশিলী জাতি–উপজাতির মহিলারা পাবেন মাসে ১০০০ টাকা। আর সাধারণ পরিবারের মহিলারা মাসিক ৫০০ টাকা পাবেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখালেই হবে। তাও দরখাস্তপত্র নিয়ে যাবেন।’‌

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,  ‘যারা স্থায়ী চাকরি করেন তারা ছাড়া সবাই এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন। ৬০ বছর পর্যন্ত যে কেউ আবেদন করতে পারবেন। যে যখন‌ই আবেদন করুক না কেন, টাকা পাবেন ১ সেপ্টেম্বর থেকেই। ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত সব মহিলাই পাবেন।’

আরও পড়ুন: প্রথম দিনেই মেট্রোয় ব্যাপক ভিড়,উধাও করোনা বিধি, শারীরিক দূরত্ব

আজকের ঘোষণার পর স্পষ্ট, প্রস্তাবিত ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্প দ্রুত রূপায়িত হতে চলেছে। আর ওই প্রকল্পের কাজে গতি আনতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে সমস্ত জেলা শাসকদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি একটি ভিডিও কনফারেন্সে মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সকল জেলাশাসকদের কাছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের প্রস্তাবিত উপভোক্তাদের তালিকা প্রস্তুত করে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর ওই তালিকা হাতে পাওয়ার পরেই তা খতিয়ে দেখে প্রকল্প রূপায়নের কাজ শুরু হবে। তবে, এদিন মুখ্যমন্ত্রী দুয়ারে সরকার প্রকল্পে নাম নথিভূক্তকরণের উপায়ও জানিয়ে দিলেন।

একই সঙ্গে লক্ষ্মীর ভান্ডার সম্পর্কে সচেতনতা প্রচার করতে জেলা প্রশাসনকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন, এমন একজন মহিলাও যেন এই প্রকল্পের আওতা থেকে বাদ না পড়েন, তা নিশ্চিত করতে বলেছে নবান্ন। এ জন্য প্রচার পত্র তৈরি করে বিলি করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লোকশিল্পীদের মাধ্যমে পথনাটিকা গান ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকল্প সম্পর্কে প্রচার চালানোর জন্য জেলাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব।

এই ঘোষণা ভরদুপুরে করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির মা–বোনেদের নজর কেড়ে নিলেন। অনেকেই এই প্রকল্পের জন্য খোঁজখবর শুরু করেছিলেন। এবার সবকিছুর জবাব এইভাবেই দিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: নবান্ন আসার পথে হাজরা রোডের টিকাকরণ কেন্দ্রে মমতার সারপ্রাইজ ভিজিট

 

Exit mobile version