স্বাধীনতার পর নজিরবিহীন পরাজয়ের মুখে পড়েছে বাংলার সিপিএম-কংগ্রেস। সেই ’৫২ সাল থেকে ভোট হচ্ছে, এই প্রথম বাংলার বিধানসভায় একজনও বাম-কংগ্রেসের বিধায়ক নেই। শূন্য।
একুশের ভোটে তৃণমূল ডবল সেঞ্চুরি করার পর সোমবার বাম-কংগ্রেসের বিপর্যয় নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “আমি চাইনি কেউ শূন্য হয়ে যাক। ওরা নিজেদের এতটাই বিজেপির দিকে ঠেলে দিয়েছে যে নিজেরাই সাইনবোর্ড হয়ে গেছে। বিজেপির চেয়ে ওরা কিছু থাকলে ভালো হত।” সেই সঙ্গে দিদি এও বলেছেন, “কই দীপঙ্কর ভট্টাচার্যরা (সিপিআইএম-লিবারেশন) তো এরকম করেনি!”
আরও পড়ুন: West Bengal Election 2021: ২৯ এপ্রিল শীতলকুচির সেই বুথে পুনর্নির্বাচন, জানালো কমিশন
বিহারের ভোটে ভাল ফল করেছিল বামেরা। আরজেডি, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে ছিল, সিপিএম, সিপিআই, লিবারেশনও। সেই জয়ের পরেই দীপঙ্কর বলেছিলেন, বাংলায় বিজেপিকে ঠেকাতে তৃণমূলকে সঙ্গে নেওয়া উচিত বামেদের। বিজেপি-তৃণমূলকে কিছুতেই এক আসনে বসানো ঠিক হবে না। তা শুনে রেগে গিয়েছিলেন সীতারাম ইয়েচুরিরা। বলেছিলেন, বাংলায় তৃণমূলকে সমর্থন করা মানে বিজেপির দিকে আরও ভোট বাড়িয়ে দেওয়া। কারণ মানুষের ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে, সীতারামের ব্যাখ্যা মেলেনি। বরং এই ফল দীপঙ্কর ভট্টাচার্যদের প্রাক ভোট বিশ্লেষণকে সঠিক প্রমাণ করেছে। দেখা গিয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষ ভোট মমতার দিকে ঢেলে পড়েছে।
অনেকের মতে, তৃণমূলও হয়তো ভাবেনি বাম-কংগ্রেস শূন্য হবে। তাই এদিন দিদি একথা বলেছেন। বাম-কংগ্রেস নেতারা অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করছেন না। কারণ তাঁরা মন্তব্য করার জায়গাতেই নেই। সিপিএমের এক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফোন ধরেই বলেছেন, আমার কাছে কোনও প্রতিক্রিয়া চাইবেন না। অন্য কথা থাকলে বলুন। হতে পারে মানসিক ভাবেই তাঁরা ভেঙে পড়েছেন। পার্টি টিকিয়ে রাখাটাই চ্যালেঞ্জ মনে করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: বাংলায় হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ, কঙ্গনার বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশে দায়ের অভিযোগ