মন্ত্রীসভা গঠিত হতেই করোনা মোকাবিলার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা বাংলাকে প্রণাম জানিয়ে শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষা করে কাজ শুরু করার বার্তা দিলেন। আশ্বস্ত করে তিনি জানালেন, লকডাউন জারি হচ্ছে না এখনই। কিন্তু মানুষকে করোনা আটকাতে লকডাউনে যা যা করণীয় তা মাথায় রেখেই কাজ করতে হবে। সাংবাদিক বৈঠক থেকেই চিপ হুইপের দায়িত্ব দিলেন নির্মল ঘোষ ঘোষকে। ডেপুটি চিপ হুইপ হবেন তাপস রায়। ডেপুটি স্পিকার হবেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন তিনি প্রথমেই ধন্যবাদ জানালের রাজ্যের সাধারণ মানুষকে। তিনি বললেন, ‘‘তৃতীয়বার ক্ষমতায় আনার জন্য মা, মাটি,মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ। সব ধর্মের মানুষ আমাদের সমর্থন করেছেন। আমরা বিভেদ চাই না, আমরা ঐক্য চাই। এই রায় শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন, সংহতির রায়।’’
আরও পড়ুন: শপথে অনুপস্থিতি নিশীথ-জগন্নাথ! সাংসদ পদ ছাড়বেন নাকি বিধায়ক পদ?
রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়েও সোমবার মুখ খোলেন মমতা। তাঁর কথায় স্পষ্ট উঠে আসে, রাজ্যে এখনই লকডাউন হচ্ছে না। মমতা বলেন, ‘‘লকডাউনের ঘোষণা না করে, লকডাউনের মতো সাধারণ মানুষকে আচরণ করতে হবে। কারণ লকডাউন ঘোষিত হলে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে। দরিদ্র মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাবেন, সেটা আমরা চাই না।’’ তিনি আবেদন জানান, যাতে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে যাতে অক্সিজেন সেন্টার তৈরি করে। পাশাপাশি তাঁর আবেদন, বড় কর্পোরেট সংস্থাগুলো যেন এগিয়ে আসে।
কেন্দ্রীয় সরকারকেও সোমবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে তোপ দাগেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিয়ে সাহায্য করছে না। টিকা দিয়েও সাহায্য করছে না। তিন কোটি টিকা চেয়ে পেয়েছি মাত্র ১ লক্ষ। কেন্দ্রীয় সরকার কেন ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেও টিকা দিতে পারছে না, জানি না। সরকারের অগ্রাধিকার কোভিড মোকাবিলা। কিন্তু এর মধ্যেও কেন্দ্রীয় দল এসে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি। তারপর দাবি করা হয়েছে, কোভিড সরঞ্জামে জিএসটি নেওয়া হচ্ছে না, কিন্তু কোথাও কোথাও নেওয়া হচ্ছে বলে খবর পেয়েছি।’’ এ ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী সোমবার ঘোষণা করেন, রাজ্যে সকলকে বিনামূল্যে টিকাকরণের কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি তিনি ঘোষণা করেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ১ কোটি টিকা দেওয়া হবে। তৎপরতার সঙ্গে করোনা মোকাবিলা করবে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: ব্রাত্য ‘আদি’ বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, বিরোধী দলনেতা হলেন শুভেন্দুই