অবশেষে সব আশঙ্কার অবসান হল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের আসন্ন মরশুমে খেলতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। আজ শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে তাঁদের যাবতীয় মতানৈক্য মিটে যায়। আর সেইসঙ্গে লাল-হলুদ সমর্থকদের মুখে ফুটে ওঠে আশার আলো। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে যে এই চুক্তিজট কাটত না, সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রধান কর্মকর্তা দেবব্রত সরকারও। চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর আজ দুই পক্ষই একে অপরের সঙ্গে হাত মেলায়।
‘এটিকে মোহনবাগান পৌঁছে গেল AFC কাপের নক আউটে। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গল পৌঁছে গেল নবান্নে।’ মঙ্গলবার বিকেল থেকেই বিভিন্ন নেট পাড়ায় ট্রোলড হতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। শ্রী সিমেন্ট ও ইস্টবেঙ্গলের চুক্তিপত্র জট নিয়ে বহুদিন ধরেই সামাজিক মাধ্যমে চলছে ট্রোলের বন্যা। এই পরিস্থিতি থেকে কি বেরিয়ে আসতে পারবে লাল-হলুদ? এই প্রশ্নেই কপালে ভাঁজ পড়ছিল দলের সমর্থকদের। ইস্টবেঙ্গলের অগণিত সমর্থক তাকিয়ে নবান্নের দিকে। চুক্তিপত্র জট কাটাতে নবান্নে আজ বিকেলে ইস্টবেঙ্গল ও শ্রী সিমেন্টের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই অবশেষে কাটল চুক্তিজট।
আসন্ন ISL টুর্নামেন্টে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে বিনিয়োগ করবে শ্রী সিমেন্টই। আজ এই ঘটনায় সিলমোহর পড়ে গেল। ফলে লাল-হলুদ ব্রিগেডের আইএসএল খেলায় আর কোনও বাধাই রইল না। এই বৈঠকে ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। তিনি বললেন, ‘দিদির বদান্যতায় আমাদের ক্লাবের ফ্লাডলাইট লাগানো হয়েছে। এমনকী গত বছরও ওনার জন্যই আমরা ISL টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পেয়েছি। এবারও চুক্তিজট কাটাতে উনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করলেন সেকারণে আমরা কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা পাঁচ শিক্ষিকার, কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে রাজ্য
শ্রী সিমেন্টের পক্ষ থেকে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সাধারণ সচিব এস এস খান্ডেলওয়াল, মুখ্য অর্থ আধিকারিক এস যাদব ও সিনিয়র ম্যানেজার সন্দীপ কুমার। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকে হাজির ছিলেন সদানন্দ মুখোপাধ্যায় এবং শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। এছাড়া মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব মজুমদার।
এই বৈঠকে শ্রী সিমেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁরা চাইছিলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব যাতে ISL টুর্নামেন্ট খেলতে পারে। সেকারণেই বিগত একবছর ধরে তাঁরা ক্লাবকে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করানোর জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। কিন্তু, কোনও কারণবশত সেই চুক্তি শেষপর্যন্ত আর সম্পন্ন হয়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রী যখন চাইছেন, তখন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব আগামী মরশুমেও ISL খেলবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্তরে প্রশংসিত মমতা সরকারের আরও এক প্রকল্প, দেশের মধ্যে ১ নম্বরে ‘বাংলার বাড়ি’, জানাল কেন্দ্র