করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বড় সভা–সমাবেশ, রোড শো করা যাবে না। এটা নির্বাচন কমিশনের জারি করা নির্দেশিকা। তাই ছোট ছোট সভা করার পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা এতটাই তুঙ্গে যে মানুষের ভিড় আটকানো কঠিন। সেখানে কর্মীসভা কিছু মানুষকে নিয়ে করা যায়। তাই উপনির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিয়েই চেতলার অহীন্দ্র মঞ্চে কর্মীসভা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
এবার ভবানীপুরের ভোটারদের সঙ্গে তিনি জনসংযোগ করতে চান। তাই এই নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নেতাদের প্রত্যেক ওয়ার্ডে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ঘরোয়া বৈঠকের আয়োজন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে ভবানীপুরের পার্টি অফিসে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম–সহ অন্যান্যরা। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের বাছাই করা ভোটারদের সঙ্গে কথা বলবেন নেত্রী।
এখন বাকি সাতটি ওয়ার্ডে তৃণমূলনেত্রীর ঘরোয়া সভার সূচি তৈরির কাজ চলছে। এই সভার আয়োজন করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ওয়ার্ড কো–অর্ডিনেটরদের। প্রচারসূচি তৈরি করতে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক কাজকর্মের দিকে লক্ষ্য রেখে। কারণ, একদিকে প্রচার অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। তাই এক একটি ওয়ার্ডের কর্মসূচি সম্পন্ন করতে হচ্ছে খুব সাবধানে।
২০ জনের টিম তৈরি করা হয়েছে। যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার করবেন। এই প্রচার এবং ঘরোয়া সভা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রার্থী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন প্রত্যেক ভোটারের কাছে পৌঁছতে। কিন্তু করোনা আবহে তেমনটা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ছোট ছোট সভা করে তৃণমূল নেত্রী নিজের কথা তুলে ধরবেন। বাকি প্রচার দলের সর্বস্তরের নেতা–কর্মীরা করছেন।’