Site icon The News Nest

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিউ ব্যারাকপুরে, ভস্মীভূত ওষুধের দোকান এবং গেঞ্জি কারখানা

fire barrakpur

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস কাটিয়ে উঠতেই আগুনের লেলিহান শিখার সম্মুখীণ হতে হল শহর লাগোয়া জেলাকে। আর তাতেই নয়া আতঙ্ক তৈরি হল। এবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল নিউ ব্যারাকপুর। বৃহস্পতিবার ভোররাতে এলাকার একটি গেঞ্জি কারখানা এবং ওষুধের দোকানে ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। ঘটনাস্থলে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ করছে। কলকাতায় সকাল থেকে বৃষ্টি হলেও আগুনের গ্রাসে পড়েছে নিউ ব্যারাকপুরবাসী।

আরও পড়ুন : জতুগৃহে আটকে পড়লেন ৬০ বছরের যাজক ‘যোসেফ’ পরমব্রত!

স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভোররাতে এলাকার গেঞ্জি কারখানা এবং ওষুধের দোকান থেকে কালো ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। কালো ধোঁয়ায় আকাশ ঢেকে যেতেই চমকে ওঠেন বাসিন্দারা। তারপরই আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। গেঞ্জি কারখানা এবং ওষুধের দোকানে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় দমকল দফতরে। দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় দোকান–কারখানার বেশিরভাগ অংশ। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়।

দমকল সূত্রে খবর, ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। ওই গেঞ্জি কারখানায় রাতে বেশ কয়েকজনের থাকার কথা। কেউ আটকে আছে কিনা তা দেখা হচ্ছে। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে কারখানার ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করা হচ্ছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। তবে কি করে এখানে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়।

দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বললেন, “ভিতরে দমকল কর্মীরা ঢোকার চেষ্টা করছে। অত্যাধুনিক রোবট কাজ করছে। কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত হবে। চার জনের আটকে থাকার খবর রয়েছে।” তবে লকডাউনের মাঝে চার কর্মী কারখানায় কী করছিলেন, তাঁরা কী ওখানেই থাকতেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

আরও পড়ুন : Cyclone Yaas: ‘ইয়াস’ ‘চোখ’হীন ঘূর্ণিঝড়, জানালেন Cyclone Man হাবিবুর রহমান

 

Exit mobile version