Mather daughter commit suicide at salt lake kolkata

Suicide: গৃহকর্তার ছবির সামনে সুইসাইড নোট, ২০ হাজার টাকা, আত্মঘাতী মা-মেয়ে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

শুক্রবার সকালে সল্টলেকের CD ব্লকে একটি বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে জোড়া মৃতদেহ। তাঁরা সম্পর্কে মা ও মেয়ে বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এঁরা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলেই প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।শুক্রবার সকালেই পাটুলি থেকে মডেল-অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে।

শুক্রবার সাত সকালে সল্টলেকের সিডি ব্লকের ১৭৪ নম্বর বাড়ির তিনতলা থেকে উদ্ধার করা হল মা-মেয়ের মৃতদেহ। মেয়ের নাম স্নেহা ঘোষ এবং মায়ের নাম সুপর্ণা ঘোষ। স্নেহার দেহ বিছানায় এবং সুপর্ণার দেহ ঘরের মেঝেতে পড়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুপর্ণার স্বামী আশিস ঘোষ এক মাস আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা গিয়েছেন। স্নেহারও স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে আগেই।দুজনের মৃতদেহের পাশ থেকে একটি স্যুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। মানসিক অবসাদ থেকে এঁরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে স্যুইসাইড নোটে জানিয়েছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই ঘরে সুপর্ণার স্বামীর একটি ছবি রয়েছে। সেই ছবির সামনে ২০ হাজার টাকা এবং যাবতীয় পরিচয়পত্র রাখা ছিল। সেখানেই রাখা ছিল সুইসাইড নোটটি। এই সুইসাইড নোটে প্রশাসনকে পারলৌকিক ক্রিয়া করার আবেদন জানানো হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।

এদিন সকালে সুপর্ণাদেবীর ঘর থেকে জল উপচে বাইরে অন্যান্যদের ঘরে চলে আসে। কল খোলা থাকার জন্যই এই অবস্থা হয়। তখনই কল বন্ধ করার জন্য প্রতিবেশীরা সুপর্ণাদেবীকে ডাকাডাকি শুরু করেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরেও তাঁদের কারওর সাড়া-শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। এরপর তাঁরা থানা ও কাউন্সিলকে খবর দেন। তারপর পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। উদ্ধার করে দুই নিথর দেহ।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest