minor girl and her grand mother died on building collapse

রাতভর বৃষ্টিতে বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ল আহিরিটোলায়, প্রাণ গেল ৩ বছরের শিশু সহ ২ জনের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নিম্নচাপের নাগাড়ে বৃষ্টির ফলে ভেঙে গিয়েছিল বাড়ি। এবার সেই বাড়ির ভাঙ্গা দেওয়ালের চাপে প্রাণ গেল দুই ব্যক্তির । যাঁরা সম্পর্কে ঠাকুরমা এবং নাতনি। মৃত শিশু কন্যার বয়স তিন বছর । আর তার ঠাকুরমা বয়স ৫২ বছর ।

নিম্নচাপের জেরে গত কাল থেকেই সারা রাত জুড়ে বৃষ্টি চলছে। সেই সঙ্গে দোসর ঝড়ো হাওয়া । প্রাথমিক ভাবে অনুমান, সেই কারণেই ভেঙে পড়ে কলকাতার পুরনো দোতলা বাড়িটি। জোড়াবাগান থানা এলাকার ১০ নম্বর আহিরিটোলা স্ট্রিটে অবস্থিত বাড়িটি বুধবার সকালের দিকে ভেঙে পড়ে । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ভেঙে যায় ওই পুরনো বাড়িটির ৮০ শতাংশ ।

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিল বাহিনী। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরাও যান আহিরিটোলায়। ওই ভাঙা বাড়ির নিচের তলায় তিন জন আটকে ছিলেন । যাঁদের দীর্ঘ সময়ের প্রচেষ্টার পরে উদ্ধার করা হয়। যাঁদের মধ্যে ছিল ওই শিশু কন্যা এবং তার ঠাকুরমা। তাঁদের আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ।

আরও পড়ুন: কলকাতায় পাঁচ দিন ‘Dry Day’! বন্ধ থাকবে মদের দোকান, খুলবে না পানশালাও

উত্তর কলকাতার পুরনো বাড়িগুলির মধ্যে অধিকাংশের অবস্থা বেশ খারাপ। উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের অভাব দেখা যায়। অনেক বাড়ি ভেঙে বহুতল হয়েছে। অনেক বাড়ি রয়ে গিয়েছে পুরনো কায়দায়। তেমনই একটি হচ্ছে আহিরিটোলার এই বাড়িটি। ঘিঞ্জি এলাকায় অবস্থিত বাড়িটি ভেঙে পরায় ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় উদ্ধারকারীদের।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর ফিরহাদ হাকিম বলেন,  “ভেঙে পড়া বাড়িটিকে আগেই বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। নোটিসও দেওয়া হয়েছিল। সেই নোটিস ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। পুরসভার কর্মীরা বারবার বাসিন্দাদের বলেছেন। তবে তাঁরা উঠতে চাননি।” বসবাসকারীরা নোটিস পাওয়ার পরই উঠে গেলে এমন বিপত্তি ঘটত না বলেই মনে করছেন ফিরহাদ হাকিম। বর্তমানে আহিরীটোলার (Ahiritola) ১০ নম্বর স্ট্রিটের ওই দোতলা বাড়িটিকে ভেঙে ফেলা হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। ওই বাড়ির বসবাসকারীদের প্রাথমিকভাবে ত্রিপল দেওয়া হবে। পরে চাইলে পুনর্বাসনের বন্দোবস্ত করা হবে। বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটের অশান্তিতে অনেক সময় বিপজ্জনক বাড়িগুলি সংস্কারের কাজ থমকে থাকে। তার ফলে পুরসভা বিপাকে পড়ছে বলেও দাবি পুরপ্রশাসকের।

আরও পড়ুন: WB By-poll: হাই ভোল্টেজ ভবানীপুরে লাগু ১৪৪ ধারা, জারি থাকবে উপনির্বাচন পর্যন্ত

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest