লোকাল ট্রেন চালু নিয়ে বুধবার ফের বৈঠক হল নবান্নে। সূত্রের খবর, আপাতত হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশন মিলিয়ে অফিস টাইমে ২০০ ট্রেন চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
একই সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড অপরেটিং প্রসিডিউর তথা এসওপি নিয়েও এদিন আলোচনা হয়েছে। দূরত্ব বিধি রক্ষা করা, যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং সচেতনতামূলক প্রচারের সিদ্ধান্ত হয়েছে এদিনের বৈঠকে।আগামীকাল, বৃহস্পতিবার ফের বৈঠক হবে নবান্নে। হতে পারে কালকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : খোরপোষের জন্য স্বামী -স্ত্রী দু’পক্ষকেই জানাতে হবে আয়ের উৎস, বলল সুপ্রিম কোর্ট
হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশনে আগে প্রতিদিন গড়ে ৩০ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করতেন। সব শাখা মিলিয়ে শিয়ালদহে ৯১৫টি, হাওড়ায় ৪০০টির মতো লোকাল ট্রেন চলত। প্রথমে কথা হয়েছিল লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হলে প্রথমে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ট্রেন চালানো হবে। প্রথম দিনের বৈঠকের পর রেলের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ধীরে ধীরে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হবে।
বুধবার রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, পরিবহণ সচিব ও অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে আলোচনা করেন পূর্ব রেল ও দক্ষিণ–পূর্ব রেলের আধিকারিকরা। রেলের পক্ষ থেকে এদিন ছিলেন হাওড়া, শিয়ালদহ এবং খড়গপুরের ডিআরএম এবং পূর্ব রেলের চিফ অপারেশন ম্যানেজার।
করোনা পরিস্থিতিতে সুষ্ঠুভাবে ট্রেন চলাচলের জন্য কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হবে মূলত সে ব্যাপারেই এদিন আলোচনা করা হয়। সে ক্ষেত্রে কীরকম স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (SOP) তৈরি করতে হবে, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয় এদিন। সকাল ও বিকেলের অফিস টাইমে হাওড়া ও শিয়ালদহ— এই দুটি স্টেশন মিলিয়ে ২০০–র বেশি ট্রেন চালানোর জন্য রেলকে বলেছে রাজ্য।
আগের দিন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ট্রেন চললেও যাত্রীসংখ্যা অর্ধেক করে দেওয়া হবে। এখন একটা ট্রেনে ১২০০ জন যাত্রী বসে যেতে পারেন। কোভিড বিধি মেনে এই সংখ্যাই ৬০০ জনে নামিয়ে আনা হবে। ট্রেনে উঠলে মাস্ক, স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক করা হবে।
কিন্তু এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা যাবে তা নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করছেন। তাঁদের মতে, যখন ১০০ শতাংশ ট্রেন চলত এবং ট্রেনযাত্রীরা তাতে চাপতেন তখনই অফিসটাইমে বাদুড় ঝোলা অবস্থা হতো। ট্রেনের সংখ্যা কমালে বিপত্তি আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন : আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ, সাতসকালে গ্রেফতার অর্ণব গোস্বামী