Site icon The News Nest

Mukul Roy: গুরুতর অসুস্থ মুকুল রায়, ভরতি কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে

mukul roy 1

গুরুতর অসুস্থ মুকুল রায়। স্নায়ুজনিত সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে সমস্যায় ভুগছেন তিনি। রবিবার রাতে বাড়াবাড়ি হওয়ায় বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁকে। আপাতত স্থিতিশীল তৃণমূল নেতা। তবে কয়েকটা দিন হাসপাতালে থাকতে হবে তাঁকে।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, স্নায়বিক সমস্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় মুকুল রায়কে রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাঃ সঞ্জয় সিংয়ের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে। এখন সোমবার তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। একাধিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে এখনই ছাড়া হচ্ছে না। একটু পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসকরা দেখতে চাইছেন। তবে স্বাভাবিক কথাবার্তা বলতে পারছেন মুকুল রায়। গতবছর থেকে এই সমস্যা বড় আকার নেয়। তাই নিয়েই এবার ভর্তি।

মুকুলের ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, পরিকল্পনা মাফিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে মুকুল রায়কে। তাঁর মাথায় জল জমেছে। এই রোগ তাঁর পুরনো। তার শুশ্রূষা করাতেই ভর্তি করানো হয়েছে রায়সাহেবকে।

আরও পড়ুন: CV Ananda Bose: অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের আগে প্রধান সচিব নন্দিনীকে সরালেন রাজ্যপাল

এক সময় তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ ছিলেন মুকুল। রাজ্য রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম ‘বিশ্বস্ত সৈনিক’ হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। পরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে পদ্ম প্রতীকে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে ভোটে লড়েন মুকুল। জয়ীও হন। ভোটের ফল ঘোষণার কিছু দিনের মধ্যেই মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘটে মুকুলের। যা ঘিরে সরগরম হয় রাজনীতির অলিন্দ।

২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে জয়ের পর মুকুল রায়কে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয়। সাধারণত এই পদটি বিরোধীদেরই থাকে। সেই হিসেবেই কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে জয়ের পর তাঁর মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিককে বসানো হয় এই পদে। কিন্তু অসুস্থতার জেরে বিধানসভার পাবলিক অ্য়াকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি।

২০২১ সালে স্ত্রী কৃষ্ণা রায় মারা যাওয়ার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন মুকুল রায়। শারীরিকভাবেও ভাঙন শুরু হয় তখনই। নিকটজনেরা বলতেন, স্ত্রী বিয়োগের পর মুকুলবাবুর মন–মাথা ঠিক ছিল না। তাই অনেক সময়ই কথাবার্তাতেও অসংলগ্নতা দেখা যাচ্ছিল।

আরও পড়ুন: Adenovirus Death: একইদিনে তিন শিশুর মৃত্যু, অ্যাডিনোভাইরাসের দাপটে কাঁপছে কলকাতা

Exit mobile version