ভোট মিটেছে অনেক দিন। কিন্তু বাধ সাধছিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। সংক্রমনের গতি একটু কমতেই মঙ্গলবার দুপুরে হেস্টিংস কার্যালয়ে বৈঠকে বসলেন রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতারা। মঙ্গলবার হেস্টিংসের এই বৈঠকে অবশ্য দেখা গেল না মুকুল রায়কে। বৈঠকে গরহাজির রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আজ একদিকে যখন হেস্টিংসের রাজ্য বিজেপি বিবিধ বিষয়ে আলোচনা শুরু করছে তখন শুভেন্দু অধিকারীর দিল্লিতে। কথা বলছেন জেপি নাড্ডা, অমিত শাহের সঙ্গে। ঠিক কী কারণে শুভেন্দুর হঠাৎ দিল্লি যাওয়া তা যেমন রাজনৈতিক মহলের কাছে স্পষ্ট নয় তেমনি বিষয়টি সম্পর্কে খুব ভালোভাবে ওয়াকিবহাল নন তাঁরই দলের রাজ্য সম্পাদক দিলীপ ঘোষও। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, “মিটিং ছিল জানতেন। কেন গিয়েছে জানি না। শুভেন্দু বা দিল্লির নেতারা বলতে পারবে। হয়তো কোনও জরুরি দরকারে গিয়েছে।” ওয়াকিবহাল মহলের মত এই ‘আলগা’ মন্তব্য থেকে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দূরত্বই স্পষ্ট হচ্ছে।
আরও পড়ুন : Twitter India on IT rules: কেন্দ্রের লাগাতার চাপ, দেশের ডিজিটাল আইন মানতে রাজি টুইটার
অন্য দিকে বৈঠককে মুকুল রায়ের না থাকা নিয়েও নানাবিধ জল্পনা রয়েছে। তবে যুক্তি বলছে, মুকুল রায় যেহেতু রাজ্য কমিটির সদস্যই নন তাঁর বৈঠকে থাকারই কথা নয়। অন্য দিকে তাঁর স্ত্রীও অসুস্থ। তিনি নিজেও করোনা কাটিয়ে উঠে এখনও খুব একটা থিতু নন। আর মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন বেশ কয়েকদিন ধরেই। কিন্তু চোখ টানছে রাজীবেক নিস্ক্রিয়তা। উল্লেখ্য বৈঠকে এসছেন অর্জুন সিংহ, সব্যসাচী দত্তরা।
প্রসঙ্গত বেশ কয়েকদিন ধরেই বিজেপির এই বৈঠক নিয়ে জল্পনা চলছিল। প্রশ্ন উঠছিল এই বৈঠকও কি তৃণমূলের ধাঁচেই সাংগঠনিক রদবদলের? সূত্রের খবর,আদপেই এমন কিছু নয়। এই বৈঠকের মূল অ্যাজেন্ডা ভোটহিংসায় আক্রান্তদের ঘরে ফেরানো। এরই পাশাপাশি ভবিষ্যতের কাজের একটি ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করা। জেলার নেতাদের সঙ্গে ভোট বিপর্যয়ের ফলে শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সেই দূরত্ব ঘুচিয়ে ফেলতে চাইছে রাজ্য বিজেপি। তাছাড়া আশু পরিস্থিতিতে মোর্চাগুলি যদি কোনও পরিকল্পনা নিতে চায় তা কী ভাবে বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে তাই নিয়ে আলোচনা হতে পারে আজকের বৈঠকে।
আরও পড়ুন : Weather Forecast : আগামী কদিন প্রবল দুর্যোগ, বাড়বে বজ্রপাত; নির্দেশিকা নবান্নের