‘যারা ভারতে জন্মেছে তাঁরাই ভারতীয়’, বহিরাগত ইস্যুতে এবার মোদীকে খোঁচা মহুয়ার

বাংলা এবং অসমে এনআরসি প্রসঙ্গটি বারংবার অস্বস্তিতে ফেলেছে বিজেপিকে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে দেশ জুড়ে বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল। 
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফা ভোট শুরুর আর মাত্র একদিন বাকি । এরই আগে রাজ্য জুড়ে চলছে শাসক ও বিরোধী দল গুলির তুমুল প্রচার। পা ব্যান্ডেজ অবস্থাতেই নির্বাচনী জনসভায় ঝড় তুলছেন তৃণেমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রাজ্যের প্রধান বিরোধী শক্তি অর্থাৎ বিজেপি তাদের ভোট প্রচারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের রোজ আনাগোনা বাড়ছে রাজ্যে। তালিকায় রেয়েছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, রাজনাথ সিং, যোগী আদিত্যনাথ, স্মৃতি ইরানি-সহ অন্যান্য নেতারা। বিজেপি যেমন তৃণমূল সরকারকে বিঁধতে ছাড়ছে না। তেমনই বহিরাগত প্রশ্নে মোদি বাহিনীকে কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সেই কটাক্ষের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও ভারতীয়ই বহিরাগত নন।সকলেই ভারতমাতা সন্তান।’

কাঁথির জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর বলা বক্তব্যকে হাতিয়ার করে পাল্টা দিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, “বাংলায় এসে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনও ভারতীয়ই বহিরাগত নন, সকলেই ভারতমাতার সন্তান। বিষয়টা রেকর্ড হয়ে থাকল, স্যর। এখানে যাঁরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম বাস করছেন, যাঁদের সন্তান এই মাটিতেই জন্ম নিয়েছে, তাঁদের যখন হয়রান করবেন, এই কথাটাই স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে আপনাকে’।

আরও পড়ুন: সাধুর বেশে সিংহের খাঁচায় ব্যক্তি, গুরুতর জখম, ভর্তি এসএসকেএম হাসপাতালে

এনআরসি, এনপিআর-এর প্রসঙ্গ সরাসরি উল্লেখ না করলেও মহুয়া মৈত্র যে টুইটটি করেছেন তাতে যে বিজেপি-কে এনআরসি নিয়ে বার্তা দিতে চেয়েছেন সেটা স্পষ্ট। আওয়াজ উঠেছিল, ‘আমরা সকলেই ভারতীয়। আমরা কাগজ দেখাব না।’ টুইট বার্তার শেষ লাইনে মহুয়া সে কথা ফের মনে করিয়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘কাগজ নেহি দিখায়েঙ্গে’।

বাংলা এবং অসমে এনআরসি প্রসঙ্গটি বারংবার অস্বস্তিতে ফেলেছে বিজেপিকে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে দেশ জুড়ে বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল।  এনআরসি নিয়ে মুখ না খুললেও, বিজেপির ইশতেহারের কষ্ট করে লেখা রয়েছে সিএএ- এর কথা। অমিত শাহ নিজের মুখেই বলেছেন, প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি পাকা করা হবে। পাশাপাশি এসেছে অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গ। বিজেপির ইশতেহার বলছে ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশ রুখতে ডবল ইঞ্জিন সরকার কোমর বেঁধে নামবে। প্রশ্ন উঠেছে ঘুরিয়ে কি এনআরসির কথাই বলা হচ্ছে?

উল্লেখ্য,  বুধবার মোদির সভার মিনিট কুড়ির মধ্যেই মমতা প্রত্যুত্তরে  বলেছিলেন,  “বাংলায় যারা থাকে তাদের আমরা বহিরাগত বলি না। রাজস্থানী হোক, মারোয়ারি হোক, বহু মানুষ এখানে এসে থাকছেন, কাজ করছেন, ওরা বহিরাগত নয়। কিন্তু ভোটের আগে উত্তরপ্রদেশের গুন্ডাদের পাঠিয়ে দিচ্ছে এখানে। পানবাহার খেতে খেতে আমাদের সংস্কৃতি ধ্বংস করে দিচ্ছে। এদের আমরা বহিরাগত বলি।” আরও এক পা এগিয়ে আক্রমণ শানালেন তাঁরই সহযোদ্ধা, মহুয়া।

আরও পড়ুন: বাংলায় আছড়ে পড়বে আমফানের মতো সুপার সাইক্লোন! কী বলছে হাওয়া অফিস?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest