Nobel laureate Abhijit Banerjee blames 'science' for growth of covid19 in the country

দেশে করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য ‘বিজ্ঞান’কেই কাঠগড়ায় তুললেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

চলতি বছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত পরিস্থিতির সাক্ষী হয়েছে গোটা দেশ। আবার চলতি মাসেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কীভাবে বারবার দাপট দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে এই মারণ ভাইরাস? সরকারের গাফিলতি নাকি সাধারণ মানুষের অবহেলা! নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhijit Banerjee) কিন্তু এসব ছাপিয়ে কাঠগড়ায় তুললেন খোদ বিজ্ঞানকে। তাঁর মতে, বিজ্ঞানই ধন্দে ফেলে দিল গোটা দেশকে।

শুক্রবার ডিজিটাল বিজ্ঞান দৈনিকের উদ্বোধনে সোনারপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ লিভার অ্যান্ড ডাইজেন্টিভ সায়েন্সে (IILDS) হাজির হয়েছিলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই কোভিডের দাপট নিয়ে তিনি বলেন, বিজ্ঞানের কথা মেনে কেন্দ্র প্রথমে লকডাউন ঘোষণা করেছিল। তারপর ধীরে ধীরে বিজ্ঞানসম্মত মতেই লকডাউন তুলে নেওয়া হল। বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল হয়ে গেল। আর তাতেই নতুন করে চোখ রাঙাতে শুরু করল করোনা। অর্থাৎ বিজ্ঞানই ধন্দে ফেলে দিল সাধারণ মানুষকে। বিজ্ঞানের তত্ত্ব থেকে যেন ভরসাই হারিয়ে ফেললেন আম আদমি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বিজ্ঞানকে সঠিকভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরা সম্ভব হল না কেন? এ দায়িত্ব কার ছিল? সে নিয়ে অবশ্য বিস্তারিত মন্তব্যে যাননি তিনি।

আরও পড়ুন : দেশ বিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে টুইটার যুক্ত নয়, FIR করেনি সরকার, জানিয়ে দিল কেন্দ্র

অতিমারীর জেরে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা বিপক্ষেও ফের সুর চড়ান অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি মনে করেন, করোনার জন্য দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত একেবারেই ঠিক নয়। এর ‘প্রায়শ্চিত্ত’ হিসেবে যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন শুরু করা প্রয়োজন।

আসলে এদেশের রাষ্ট্রনেতারা ভোটপ্রচার এবং নির্বাচনকে লেখাপড়ার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির সমস্যা হল, এখানে সরকার বলে কিছু হয় না। কেবল শাসক দল হয়। তারা কেবল রাজনীতির কথা ভাবে। মানুষের কথা ভাবা তাদের কাছে বিলাসিতা। ফলে রাজনীতিই গুরুত্ব পাচ্ছে। বাকি সব রসাতলে যাক। সবথেকে মারাত্মক ব্যাপার হল যে, অনলাইন ও ডিজিটাল বুলি কপচে আগেই ব্যাঙ্কের চাকরির দফারফা হয়েছে , এবার বোধকরি অনলাইন লেখাপড়ার ‘সোনালী ভবিষৎতের’ কথা বলে শিক্ষক নিয়োগে কোপ পড়বে ? যেকোনো দিন বলা হতেই পারে এত স্কুল করে হবেটা কি ? অনলাইনে খরচ অনেক কম। বরং জিও নেট যাতে আরও ছড়িয়ে দেওয়া যায় সে চেষ্টা করতে হবে!

আরও পড়ুন : খেলার ছলে যৌনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে দুটুকরো করে ফেললেন যুবক, তারপর…

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest