১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশের পর প্রেসিডেন্সি জেলে (Presidency Jail) ঠাঁই হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। সংশোধনাগারের ২ নম্বর ব্লকের একটি ওয়ার্ডে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। সাধারণ কয়েদি হিসেবেই জেলযাপন করতে হচ্ছে। কোনও অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না তিনি।
গারদে খেতে হচ্ছে ভাত-ডাল-তরকারি। প্রথমদিন মাটিতেই কম্বল পেতে শুতে হয়েছিল। দ্বিতীয় দিনে তাঁর জন্য বরাদ্দ হয়েছে একটি চৌকি। প্রেসিডেন্সি জেল (Presidency Correctional Home) সূত্রে খবর, এখনও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেনি কেউ। না পরিবারের কেউ, না দলীয় কোনও নেতা-মন্ত্রী। নিদেন পক্ষে কোনও তৃণমূল কর্মীকেও দেখা যায়নি প্রেসিডেন্সি জেল চত্বরে।
এদিকে, প্রথম দিন রাতে জেলে ঢুকেই আক্ষেপের সুর শোনা গিয়েছিল পার্থর গলায়। জেলকর্মীদের কাছে হতাশা ব্যক্ত করে প্রাক্তন মন্ত্রী বলেছিলেন, “রাজনীতিতে না এলে এই দিন দেখতে হত না আমাকে। কেন যে বেসরকারি সংস্থার উচ্চপদের চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে এলাম…।” দ্বিতীয় রাতে অবশ্য চুপচাপই ছিলেন পার্থ।
আরও পড়ুন: student’s death: কলকাতায় মেডিক্যাল ছাত্রীর রহস্য মৃত্যু, হোস্টেলের ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
অন্যদিকে, আলিপুর জেলের ( Alipur Jail ) ২ নম্বর ঘরে রয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশে তাঁকে বাড়তি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তদারকি করছেন জেলের সুপার। ভালো আচরণ করার জন্য বন্দিদের যে ঘরে রাখা হয়, তারই একটি ঘর অর্পিতার জন্য বরাদ্দ হয়েছে। সূত্রের খবর, জেলে আসার পর কান্নাকাটি করেন অর্পিতা। রাতে খাবার দেওয়া হলেও খাননি। সকালে তাঁকেও চা-বিস্কুট দেওয়া হয়। খবর সূত্রের।
শুক্রবার ইডি আদালতে জানায়, অর্পিতাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হলে তাঁর প্রাণসংশয় রয়েছে। তাই তাঁকে জল ও খাবার দেওয়ার আগে, যেন পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া হয়। ইডির আইনজীবীকে বিচারক পাল্টা প্রশ্ন করেন – প্রাণ সংশয় রয়েছে, একথা আপনারা জানলেন কীভাবে? উত্তর ইডির তরফে বলা হয় – এটা বলা যাবে না, ইন্টেলিজেন্স ইনপুট রয়েছে। তাই তাঁকে বাড়তি নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Ballygunge: বিলাসবহুল গাড়ি পিষে মারল পথচারীকে, গ্রেফতার তরুণী