ভবানীপুর-সহ রাজ্যের তিনটি আসনের ভোটগ্রহণে বুথের দায়িত্বে থাকছে না কোনও রাজ্য পুলিশ। বুথ সামলাবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাই। এর জন্য মোট ৫২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। যার মধ্যে ১৫ কোম্পানি বাহিনী রুট মার্চের জন্য ইতিমধ্যে রাজ্যে এসে পৌঁছে গিয়েছে।
বিধানসভা ভোটে এ রাজ্যে বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছিল কমিশন। নাম মাত্র ছিল রাজ্য পুলিশ। বুথ পরিচালনা থেকে ভোটগ্রহণ এবং গণনা সবেতেই নজরদারি ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর। এ বার ভবানীপুর উপনির্বাচন ও অন্য দুই কেন্দ্রে নির্বাচনেও সেই একই পথ নিচ্ছে কমিশন।
রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী অফিসের এক আধিকারিক জানান, বিগত ভোটের মতো এই ভোটেও মূল দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তিনটি কেন্দ্রের প্রায় সব বুথেই থাকবে তারা। অর্থাৎ বলা ভাল, ১০০ শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হবে উপনির্বাচন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভবানীপুরের ২৮৮টি বুথের জন্য ১৫ কোম্পানি, জঙ্গিপুরের ৩৬৩টি বুথের জন্য ১৮ কোম্পানি এবং শমসেরগঞ্জের ৩২৯টি বুথের জন্য ১৯ কোম্পানি বাহিনী আসবে।
এমনিতে রাজ্যে রাজনৈতিকভাবে খুব ভালো অবস্থায় নেই বিজেপি। বিজেপির বিধায়করা অনেকে দল ছাড়ছে। ঠাঁই নিচ্ছে তৃণমূলে।এমন অবস্থায় বিজেপি চাইছে কেন্দ্রীয় বাহিনী সামনে রেখে দলের লোকেদের খানিকটা চাঙ্গা করা। এমনিতেই মমতা এখন কেবল তৃণমূলের দলনেত্রী নন। তিনি রাজ্যে একটা সুশাসন প্রণয়নের চেষ্টা করছেন।
মমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মানুষের কল্যাণ কামনায় তাঁর প্রধান কাজ। মমতা নিজেকে এমন উচ্চতায় তুলে ধরেছেন, তাতে তিনি আর নিছক একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নন। আগামী লোকসভা নির্বাচনে মমতার দিকে তাকিয়ে অনেকে। দেশজুড়ে তাঁর জনপ্ৰিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতাও বেড়েছে আগের থেকে অনেক গুন বেশি। তাই বিজেপি এবং সিপিএম নিয়ে মমতা ভবানীপুরে বিশেষ চিন্তিত বলে মনে করছেন না রাজনৈতিকমহল। তবে কাঁটা যে নেই তা নয়। বিধানসভা নির্বাচনে মমতাকে জয়ী ঘোষণা করার পর যে কাণ্ড ঘটেছিল তা প্রত্যেকের জানা।