ফের শহরে অনলাইন ব্যাঙ্ক প্রতারণার (Online Bank Fraud) শিকার এই শহরেরই এক ব্যক্তি। এবার গরফার বাসিন্দা সুদীপ্ত গোস্বামীর অ্যাকাউন্ট থেকে দিনেদুপুরে ১লক্ষ ১৭ হাজার টাকা উধাও হলো। দিশেহারা সুদীপ্তবাবু গরফা থানা ও লালবাজার অ্যান্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড সেকশনে অভিযোগ দায়ের করেন।
কী ভাবে সুদীপ্ত গোস্বামীর টাকা গায়েব হল ? সুদীপ্ত জানান, ভোডাফোনের (ভিআই) নাম করে প্রথমে মেসেজ পাঠিয়ে কেওয়াইসি আপডেট করার কথা বলা হয় তাকে। এরপর বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ একটি নম্বর থেকে ফোন করে ভিআই পোস্টপেইড নম্বরের কেওয়াইসি আপডেটের কথা বলে মোবাইলে একটি লিঙ্ক পাঠানো হয়। সেই লিঙ্কের মাধ্যমে আপডেট ফর্ম পূরণ করার কথা বলা হয়।
সুদীপ্তবাবু ওই লিঙ্কে ক্লিক করতেই একটি পেজ খোলেন, তাতে ওঁর নাম নম্বর ডিটেলস দেন। এরপর পেইমেন্ট অপশন আসে। তাঁকে ১৩.৯০ টাকা দিতে বলা হয়। তিনি এই টাকা ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে পেমেন্ট করেছিলেন। এরপরই সঙ্গে সঙ্গে এসবিআই থেকে তাঁর কাছে মেসেজ আসে ওনার পাসওয়ার্ড বদলে যায়। অভিযোগ. তিনি মোবাইলে দেখেন তার অজান্তেই quick support নামে একটি সফটওয়ার সিস্টেম ডাউনলোড হয়ে অ্যাকটিভ হয়ে গিছে। যার মাধ্যমে ওনার মোবাইল ক্লোন করে সমস্ত ডিটেলস হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আর ওই সময়ের মধ্যে কিছু বোঝার আগেই ১লক্ষ ১৭ হাজার টাকা সরিয়ে ফেলেছেন প্রতারকরা। দেখা যাচ্ছে ওঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ফ্লিপকার্টে ট্রান্সফার হয়েছে।
প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে সুদীপ্ত থানায় যোগাযোগ করেন। থানা থেকে বিষয়টি লালবাজারেও জানানো হয়। অপরাধীদের খোঁজ করছে পুলিশ। উল্লেখ্য কলকাতা শহরে দিন কয়েক আগেই এটিএম স্কিমিং, অনলাইন প্রতারণা ইত্যাদিতে যুক্ত জামতারা গ্যাংয়ের খোঁজে পেয়েছে পুলিশ। অ্যান্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড সেকশন থেকে সম্প্রতি ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই দলেরই কেউই জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: By Election: ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিপিএমের তরুণ মুখ শ্রীজীব বিশ্বাস
দিন দুই আগে কায়দা করে চার সংখ্যার ওটিপি নম্বর জেনে এক বৃদ্ধের অ্য়াকাউন্ট থেকে প্রায় ৯৮ হাজার টাকা তুলে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে (Duttapukur)।
সূত্রের খবর, দত্তপুকুরের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধের কাছে একটি ফোন আসে। যেহেতু সমস্ত ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে আগে থেকেই বহুবার গ্রাহকদের সতর্ক করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, চার সংখ্যার ওটিপি নম্বর কিংবা অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত কোনও গোপন তথ্য কাউকে না দিতে, তাই এবার কৌশলে বৃদ্ধের থেকে ওটিপি জেনে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের পরিচয় দিয়ে ওই বৃদ্ধকে দুষ্কৃতীরা সরাসরি ওটিপি দিতে বলা হয়নি। বরং তাঁকে দুষ্কৃতীরা বলে যে, তারা নতুন একটি ওটিপি নম্বর দিচ্ছে। বৃদ্ধের ফোনে যে ওটিপি নম্বর গিয়েছে তার সঙ্গে নতুন চার সংখ্যার ওটিপি নম্বর যোগ করে জানাতে। বৃদ্ধ দুষ্কৃতীর সেই কথায় বিশ্বাস করে ওটিপি নম্বর বলে দিতেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় আটানব্বই হাজার টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনাটা খতিয়ে দেখছে।
আরও পড়ুন: ভাগ্যের ফেরে ছিলেন ফুটপাথে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্যালিকা এখন মানসিক হাসপাতালে