ধীরে ধীরে কলকাতার (Kolkata)রাস্তায় ট্রাম তুলে দেওয়া হবে। তবে হেরিটেজ হিসাবে কিছু রাস্তায় ট্রাম চলবে। ট্রামের বদলে চালানো হবে বিদ্যুত চালিত বাস। বিধানসভায় জানালেন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন বিধানসভায় ফিরহাদ জানান ইতিমধ্যেই কলকাতায় ৭৬টি চার্জিং স্টেশন তৈরি হচ্ছে। পেট্রলের দাম একশো পেরিয়েছে ফলে বাসের ভাড়া নিয়ে নাজেহাল অবস্থা যাত্রীদের। সেই কারণে একশো শতাংশ বাসই ব্যাটারিতে কনভার্ট করা হবে বলে জানালেন পরিবহণ মন্ত্রী(Firhad Hakim)।
পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বহুদিন ধরেই নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার। বাস মালিকরা ভাড়া দাবি করলেও আমজনতার স্বার্থে তাতে সম্মতি দেয়নি সরকার। যদিও বেসরকারি বাসে উঠলে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে বেশি ভাড়া। বাসে ফেয়ার চার্ট থাকার কথা বলা হলেও তা দেখা যায় না। বাসগুলি ইচ্ছে মত ভাড়া নিচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে আগেই শহরে ব্যাটারি চালিত বাস চলতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ফিরহাদ হাকিম জানালেন, আগামীতে সমস্ত বাসই ব্যাটারিতে কনভার্ট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৭৬ টি চার্জিং স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। পরবর্তীতে আরও তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।
ই-বাসের অন্যতম বড় সুবিধা হল, এর খরচ কম তবে আয় বেশি। তেলের খরচ নেই। শুধুই চার্জিংয়ের খরচ। হিসেব বলছে, এক কিলোমিটার রাস্তা যেতে এসি বা নন-এসি সরকারি বাসে খরচ পড়ে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা। সেখানে ই-বাসে খরচ ১২ থেকে ১৫ টাকা। ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, ইতিমধ্যে শহরের বুকে ১০০ টি ই-বাস চলছে। আগামী বছর আরও ৪০০ টি ই-বাস পথে নামবে। তার পরের বছর মার্চে আরও ৪০০ বাস দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ১২০০ বাসের অর্ডার দেওয়া হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, ই-বাস তৈরিতে একটি সমস্যা রয়েছে, তা হল লিথিয়াম ব্যাটারি। লিথিয়াম দেশে পাওয়া যায় না বা তৈরি হয় না, ফলে ই-বাস তৈরির ক্ষেত্রে একটু বেশি সময় লাগছেই।