Site icon The News Nest

Park Street: তরুণীর শ্লীলতাহানি, গোপনে পোশাক বদলের ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল, ধৃত জিম ট্রেনার

Gym scaled

ইউনিসেক্স জিমে মহিলাদের চেঞ্জিং রুমে গোপনে ফিট করা হয়েছিল মোবাইল ক্যামেরা। সেখানে ধরা পড়ে জিমে অনুশীলনের পর এক তরুণীর পোশাক পরিবর্তনের ছবি। ইনস্টাগ্রামে তা ভাইরালও করে দেওয়া হয়। তার প্রতিবাদ করেন ওই তরুণী। অভিযোগ, এরপর তাঁকে জিমের মধ্যে শ্লীলতহানি করে ওই ইনস্ট্রাক্টর ও সেখানকার মালিক। দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় পার্ক স্ট্রিট থানায়। তার ভিত্তিতে পুলিস শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করে জিম ইনস্ট্রাক্টর বিশ্বজিৎ দাসকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে। জিমের মালিকের খোঁজ চলছে।

পুলিশ জানিয়েছে, পার্ক স্ট্রিট থানার রয়েড স্ট্রিটে রয়েছে ওই জিম। ছেলে ও মেয়েরা একসঙ্গেই জিম করে। কিছুদিন আগে ওই জিমে ভর্তি হন তরুণী। সেখানে ইনস্ট্রাকটর হিসেবে কাজ করতেন অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ। তরুণী জানিয়েছেন, জিম ইনস্ট্রাকটর ও মালিক দুজনে মিলে মহিলাদের নানা ধরনের ব্যায়াম দেখাতেন। সে জন্য ইচ্ছা করেই মহিলাদের শরীরের নানা অংশ স্পর্শ করতেন তাঁরা। প্রথমে বিষয়টি নিয়ে তাঁর সন্দেহ হয়নি।

কয়েকদিন যেতে না যেতেই খেয়াল করেন ব্যায়াম দেখানোর নাম করে তাঁর গোপন অঙ্গ স্পর্শ করছেন জিম ইনস্ট্রাকটর। তিনি এর প্রতিবাদ করলে তাঁর পোশাক বদলের ছবি তুলে সেটা ভাইরাল করে দেওয়া হয়। তরুণী জানিয়েছেন, ইনস্টাগ্রামে তাঁর সেই ভিডিও ঘুরছে। এই ভিডিও তুলে নিতে বললেন জিম ইস্ট্রাকটর ও মালিক তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা শুরু করেন। পরে একা দেখে জিমের ভেতর তাঁর শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে পুলিশকে অভিযোগ করেছেন তরুণী।

তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, তরুণী যেখানে পোশাক পরিবর্তন করতেন, সেখানে একটি মোবাইল বসানো হয়। সেটির ক্যামেরা অন করে রাখা ছিল। তরুণী সেখানে ঢোকার পরই তাঁর পোশাক পরিবর্তনের ছবি ক্যামেরাবন্দি হয়ে যায়। তারপরেও অন্য তরুণীদের একই ছবি ধরা পড়েছে বলে জেনেছে পুলিস। তদন্তকারীরা জানতে পারছেন, এই জিমটি ইউনিসেক্স হলেও সেখানে কোনও মহিলা ট্রেনার ছিল না। অথচ নিয়ম অনুযায়ী মহিলা প্রশিক্ষক রাখা আবশ্যিক।

কীভাবে বিশ্বজিৎ মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। পাশাপাশি পুলিস জানতে পারছে, এর আগেও অভিযুক্তরা চেঞ্জিং রুমে ক্যামেরা লুকিয়ে রেখে অনেক তরুণীর ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছে। এই সমস্ত ছবি তারা বিভিন্ন জায়গায় পোস্টও করত। কতজন মহিলার এই ধরনের ছবি তারা তুলেছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। তদন্তে উঠে এসেছে শহরের অধিকাংশ জিমেই মহিলাদের চেঞ্জিং রুমে কোনও নিরাপত্তা নেই। এই নিয়ে আলাদা করে খোঁজ শুরু হয়েছে।

Exit mobile version