মুকুল রায়কে (Mukul Roy) ফোন করে তাঁর স্ত্রীর স্বাস্থ্যের খবর নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মুকুল রায়কে ফোন করেন মোদী। তাঁর স্ত্রীয়ের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেন। মিনিট দুয়েকের কথা হয় তাঁদের মধ্যে।
মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। গত ৩ সপ্তাহ ধরে করোনা আক্রান্ত তিনি। গত ১৫ দিন ধরে ভর্তি রয়েছেন বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তাঁর শারীরিক অবস্থাও জটিল। একমো সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই ১৫ দিনে তাঁকে দেখতে কোনও বিজেপি নেতাই হাসপাতালে যাননি। তা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে মুকুল পুত্র উষ্মা প্রকাশ করেন বলেও খবর।
বুধবার মুকুল-পত্নীকে দেখতে হাসপাতালে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সৌজন্যে আপ্লুত হন মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশুও। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতাল ছাড়ার পরই সেখানে পৌঁছন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাত ৯টা নাগাদ তড়িঘড়ি হাসপাতালে যান তিনি। আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুকুল রায়কে মোদীর ফোন!
এই ফোনালাপের পরই উঠছে প্রশ্ন। অভিষেক-শুভ্রাংশু সাক্ষাতের পরই দলীয় নেতার পাশে থাকার কথা মনে পড়ল বিজেপি নেতৃত্বের? নাকি ঘর ভাঙার আশঙ্কায় ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির? যদিও সে কথা মানতে নারাজ বিজেপি শিবির। তাঁদের কথা, দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতার সংকটের সময় পাশে থাকার বার্তা দিতেই ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার সন্ধেয় মুকুলপত্নী কৃষ্ণা রায়কে দেখতে বাইপাসের হাসপাতালে আসেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরনো দলের সহযোদ্ধার এই ব্যবহারে ‘আপ্লুত’ মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু। তাঁর পাশে থাকার কৌশলী বার্তাও দিয়েছেন অভিষেক।
এর পরই তড়িঘড়ি হাসপাতালে আসেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে তাঁর সঙ্গে বীজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশুর দেখা হয়নি বলেই সূত্রের দাবি। অভিষেকের পর দিলীপ ঘোষের হাসপাতালে আসাকে অনেকেই ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’-এর চেষ্টা বলে কটাক্ষ করছেন। এরপর তাঁকে ফোন করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।