Site icon The News Nest

বাজি ফাটানো বন্ধ করতে গিয়ে বেলুড়ে আক্রান্ত পুলিশ, গুরুতর আহত ৭ পুলিস কর্মী

police

সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছিল বাজি ফাটানো। রাস্তায় নয়, কোনও ক্লাবেও নয়, বাজি ফাটানো হচ্ছিল এক অভিজাত আবাসনে। বন্ধ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন পুলিস কর্মী। আবাসনের বাসিন্দাদের হাতে আক্রান্ত সাতজন বেলুড় থানার পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে বালি থানা এলাকায়।

জানা গিয়েছে বুধবার রাতে বেলুড়ের (Belur) শ্রমজীবী হাসপাতাল নিকটস্থ একটি আবাসনের বাসিন্দারা দেদার বাজি ফাটাতে শুরু করে। খবর কানে যাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে হাজির হন বালি থানার পুলিশ। হাই কোর্টের নির্দেশ মনে করিয়ে বাজি পোড়াতে বারণ করেন তাঁরা। ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় বাজি। আটক করা হয় আবাসনের ৫ জনকে।

আরও পড়ুন: ‘পার্টির মধ্যে এখন বাঁধাকপির দশা, পাতা ছাড়াতে ছাড়াতে কপি খুঁজে পাওয়া যাবে না’: দিলীপ

অভিযোগ, সেই সময়ই পুলিশের উপর চড়াও হয় আবাসনের বেশ কয়েকজন। ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন পুলিশ ও আবাসিকরা। এরপরই পুলিশ কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম হয় ৭ জন। রাতেই আক্রান্ত পুলিশ কর্মীদের ভরতি করা হয় বেলুড় হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন তাঁরা।

এই ঘটনায় ওই আবাসনের মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১ জন নাবালক। উল্লেখ্য, চলতি বছরে বাজি বিক্রি ও বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। তা সত্ত্বেও লুকিয়ে কোথাও কোথায়ও চলেছে বাজি বিক্রি। সেখবর পাওয়ামাত্রই আদালতের তরফে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যকে। কোথাও বাজি বিক্রি হচ্ছে দেখলেই ওই নম্বরে অভিযোগ করতে পারবেন আমজনতা। এছাড়াও যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে পুলিশও। কিন্তু এসব সত্ত্বেও গোপনে বাজি ফাটানো চলছেই।

আরও পড়ুন: ভিড় নিয়ন্ত্রণে অফিস টাইমে চলবে 95% লোকাল ট্রেন,মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবে সিলমোহর

Exit mobile version