Police detained all TET protesters at karunamoyee

হাইকোর্টের নির্দেশ, মাঝরাতে করুণাময়ী থেকে টেট বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিল পুলিশ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার অনুরোধ আগেই করা হয়েছিল বিধাননগর পুলিশের পক্ষে। কিন্তু তাতেও ওঠেননি আন্দোলনকারীরা। অবশেষে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাঁদের তুলে দিল পুলিশ। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের ধাপে ধাপে আটক করা হয়। তাঁদের বাসে করে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র। কয়েক জন আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁদের অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে ছিল র‌্যাফ এবং পুলিশের বিশাল বাহিনী। অভিযোগ, অনেককে টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়েছে। পুলিশি অভিযানের পর থেকে নিখোঁজ ৩ আন্দোলনকারী। এর প্রতিবাদে আজ রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বাম যুব সংগঠন DYFI.

বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট রায়ে জানিয়েছিল, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কার্যালয়ের সামনে জারি থাকা ১৪৪ ধারা অমান্য করা যাবে না কোনওভাবেই। এই মর্মে পুলিশকেও দায়িত্ব দিয়েছিল আদালত। এপিসি ভবনে যাতে সরকারি কর্মী, আধিকারিকরা নিরাপদে যাতায়াত করতে পারেন, তার দায়িত্ব ছিল পুলিশের। টেট আন্দোলনকারীদের ধরনার কারণে সেই নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেদিকেও নজর ছিল হাই কোর্টের (Calcutta HC)। সেইমতো পুলিশও কাজ শুরু করে। প্রথমদিকে মাইকিং করে আন্দোলনকারীদের সরে যেতে বলা হয়। বারবার হাই কোর্টের রায়ের কথা উল্লেখ করেন পুলিশ অফিসাররা।

আরও পড়ুন: হিন্দু মহাসভার দুর্গাপুজোয় ‘গান্ধী’ রূপে অসুর! কেন্দ্রীয় সরকারের চাপে রাতারাতি রূপ বদল

তবে এত কিছুর পরেও নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিলেন ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণেরা। রাতে পুলিশ এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে। কাউকে কাউকে বাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র। তবে বেশির ভাগই রাতে নিরাপত্তার কারণে কোথাও যেতে রাজি হননি। পরে আরও পুলিশ আনা হয়। প্রথমে ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণেরা পুলিশকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁরা সকাল হলেই করুণাময়ী চত্বর ছেড়ে চলে যাবেন। কিন্তু শেষমেশ পুলিশ তাঁদের সকলকেই সরিয়ে দেয়।

আন্দোলস্থলে উপস্থিত ছিলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। আন্দোলনকারীদের আটক হওয়ার ঘটনায় তিনি বলেন, ‘‘এই আন্দোলন ভেঙে দিতে পুলিশ অনৈতিক ভাবে পদক্ষেপ করেছে। আমরা সারা রাজ্যব্যপী এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাব। আন্দোলন চলবে।’’ পরে এসএফআই-ডিওয়াইএফআইয়ের তরেফে জানানো হয়, শুক্রবার আন্দোলনস্থলে ফের জমায়েত করা হবে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার টুইট করে রাজ্য সরকারের নিন্দা করছেন বিষয়টি নিয়ে।

করুণাময়ী এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা নিয়ে বিধাননগর পুলিশের বিরুদ্ধে শুক্রবার হাইকোর্টে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। আন্দোলনকারীদের প্রতি পুলিশি পদক্ষেপ নিয়ে তাঁরা আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালও।

আরও পড়ুন: I-Phone: আড়ি পাতা এড়াতে শীর্ষ আমলাদের আইফোন ব্যবহারের পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest