তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রণব-পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। সোমবার তৃণমূল ভবনে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন দীর্ঘদিনের এই কংগ্রেস নেতা। তৃণমূলে যোগ দিয়ে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “দিদির অনুমতিতে, অভিষেকবাবুর অনুমতিতে আজ আমি এখানে হাজির। আজ সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের একজন প্রাথমিক সদস্য হিসাবে যোগদান করলাম। এক কংগ্রেস থেকে অন্য কংগ্রেসে। মূল থেকে তৃণে। কিন্তু কংগ্রেসেই আছি।”
আরও পড়ুন: বিরোধীদের বাউন্সারে হাঁকালেন ছক্কা, হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়শনের সভাপতির পদে ফিরলেন আজহার
কয়েকদিন ধরেই জঙ্গিপুরের প্রাক্তন সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে নানা জল্পনা চলছিল। গত ৯ জুন প্রণব-পুত্র অভিজিৎ তাঁর জঙ্গিপুরের বাসভবনে তৃণমূলের জেলা সভাপতি, জঙ্গিপুরের সাংসদ-সহ একাধিক নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপরই জেলাজুড়ে জল্পনা ছড়ায়, তা হলে কি অভিজিৎও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে উদ্যত? এদিন সেই জল্পনাতেই সিলমোহর পড়ল।
এর আগে ২০১১ সালে নলহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। পরে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। বিধায়ক এবং সাংসদ দু’টি পদেই তিনি নির্বাচিত হন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের টিকিটে।
জুনের শুরুতে তৃণমূল কংগ্রেসের অধুনা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন অভিজিৎ। এরপরই তাঁর দলবদলের জল্পনা বাড়ে। আসন্ন উপনির্বাচনে জঙ্গিপুর থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হতে পারেন অভিজিৎ। রাজ্যের যে বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে উপনির্বাচন হবে, তার মধ্যে একটি হল জঙ্গিপুর। এর আগে ২০১২ সালে প্রণব মুখোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি হলে জঙ্গিপুর আসন থেকে পদত্যাগ করেন। উপনির্বাচনে সেই আসন থেকে জিতে লোকসভায় গিয়েছিলেন অভিজিৎ। পরে ২০১৪ সালেও জয় পান তিনি। কিন্তু ২০১৯ সালের নির্বাচনে তিনি হেরে যান।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে মজা করতে গিয়ে মৃত্যু সদ্যোজাতের, গ্রেফতার মা, ঘটনার ২ চিত্রনাট্য লেখক আত্মঘাতী