মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলজি বিভাগের এক প্রফেসরের বিরুদ্ধে লালবাজারে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ, একাধিক ফেসবুক পোস্ট এবং কমেন্টে মুখ্যমন্ত্রীর খুনের হুমকি বিষয়ে একাধিক বিতর্কিত কথা বলেছেন ওই অধ্যাপক।
যার জেরে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, নির্বাচনের আগেও এমন বেশ কিছু বিতর্কিত পোস্ট করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি ফের একবার পোস্ট করেন ওই অধ্যাপক। তার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ করেন এক গবেষক। যদিও ঘটনা নিয়ে ওই অধ্যাপকের কোনও বয়ান এখনও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এরপরই চাঞ্চল্য ছড়ায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা।
জানা যাচ্ছে, জুওলজি বিভাগের ওই অধ্যাপক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি কলেজে অধ্যাপনা করেন। অভিযোগকারীদের দাবি, একটি ফেসবুক গ্রুপে আলোচনা চলাকালীন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে কার্যত খুনের হুমকি দিয়েছেন। তাঁদের আরও অভিয়োগ, এর আগেও বিভিন্ন হোয়াটসঅ্য়াপ গ্রুপে তিনি বহুবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। কিন্তু এবার সরাসরি ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে ওই অধ্য়াপক মুখ্যমন্ত্রীকে হত্যা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এরপরই হুইচই শুরু হয়। জানা যাচ্ছে ওই অধ্য়াপক ওয়েবকুটার সদস্য।
আরও পড়ুন : UEFA Champions League : এবার কি মুখোমুখি মেসি-রোনাল্ডো ডুয়েল? চর্চা উত্তেজনার পারদ
বৃহস্পতিবার এসএসকেএমে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বৈঠকে বসেন তিনি। বৈঠক শেষে সাংবাদমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথম দিনের বৈঠক সফল হওয়ায় তাঁরা খুশি। হাসপাতালের নার্স ও জুনিয়ার ডাক্তারদের ভূয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, চিকিৎসকদের গাইডডলাইন ফলো করে জুনিয়ার ডাক্তার ও নার্সরাই আসল কাজটা করেন। কোনও কোনও নার্স তো নিজেদের অভিজ্ঞতা দিয়ে ডাক্তারের সমকক্ষ হয়ে কাজ করেন। এক্ষেত্রে মমতা বলেন, এবার থেকে যে সমস্ত নার্সরা ভাল কাজ করবেন তাঁদের প্র্যাকটিসনার সিস্টার হিসেব পদোন্নতি দেওয়া হবে।
একাধিক হস্টেল তৈরির কথাও শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। তিনি বলেন, এসএসকেএম-এর জন্য লি রোডে একটি জি প্লাস ১০ হস্টেল তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া আরও হস্টেল তৈরির কথা জানান তিনি। একইসঙ্গে হাসপাতালের এক বিল্ডিং থেকে অপর বিল্ডিং-এ যাতায়াতের সুবিধার্থে শুধুমাত্র ডাক্তার নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিশেষ কোনও রাস্তা তৈরি করা যায় কি না সেই বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনার থার্ড ওয়েভ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ১২ বছর পর্যন্ত শিশুদের বাবা মায়েদের সুপার স্প্রেডার হিসেবে গ্রাহ্য করে টিকাকরণে অগ্রাধিকার দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাছাড়াও আরও ১০ হাজার বেড তৈরি রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন : University of Calcutta: ফি নিয়ে বড় ঘোষণা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের