Puja pandal decorated with footwear, legal notice sent to Dum Dum park bharat chakra puja

Durga Puja 2021: জুতো দিয়ে মণ্ডপসজ্জায় ‘ধর্মবিশ্বাসে আঘাত’, কলকাতার এই পুজোকে আইনি নোটিস

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কৃষক আন্দোলনের মতো বড় ইস্যু নিয়ে সেজে উঠেছে দেবী দুর্গার মণ্ডপ। সেই সজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে বহু জুতো, চটি। আর তা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত, এই অভিযোগ তুলে দমদম পার্ক (Dum Dum Park) ভারতচক্রের পুজো কমিটিকে আইনি নোটিস পাঠানো হল। পুজোর ঠিক আগে এই নোটিসে বেশ অস্বস্তিতে পুজো কমিটি। কলকাতার বিখ্যাত এই পুজো  নিয়ে চর্চা তুঙ্গে এই মুহূর্তে।

গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা কৃষক আন্দোলনের ছবি তুলে ধরতেই মণ্ডপসজ্জায় হাওয়াই চটি ব্যবহার করেছে ভারতচক্র পুজো কমিটি। মণ্ডপের প্রবেশপথে বসানো হয়েছে ট্রাক্টর। মণ্ডপের গায়েও ছোট ছোট কাগজ সাঁটানো হয়েছে, যাতে লেখা— ‘পূর্ণ হোক কৃষকের স্বপ্ন’। যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি-কাণ্ড নিয়েও পোস্টার লাগানো হয়েছে প্রবেশপথে। তাতে লেখা— ‘লখিমপুর খেরির পাশে দাঁড়ান’, ‘লখিমপুর খেরি, তোমায় ভুলছি না’। মণ্ডপের দেওয়াল লিখন, “মোটরগাড়ি ওড়ায় ধুলো, পিষে মরে চাষিগুলো।” যা বাস্তবে শাসকদের কঙ্কালসার চেহারাটাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। কিন্তু দুর্গামণ্ডপ কেন জুতো দিয়ে সাজানো হবে, এই প্রশ্ন তুলে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি-ও।

পুজো কমিটিকে পাঠানো আইনে নোটিসে আইনজীবী পৃথ্বীবিজয় দাস লিখেছেন, ‘আমি নিজে এক জন সনাতন হিন্দু। জুতো-হাওয়াই চটি দিয়ে মণ্ডপ সাজানোর বিষয়টি আমি মেনে নিতে পারছি না। এই ধরনের চিন্তাভাবনা আমার ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে। সাধারণ মানুষের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত হানতে গোটাটাই ইচ্ছাকৃত ভাবে করা হয়েছে।’ মণ্ডপ থেকে যদি শীঘ্র জুতো না সরিয়ে নেয় পুজো কমিটি, তা হলে কোনও রকম আগাম বার্তা ছাড়াই তাদের বিরুদ্ধে তিনি কড়া ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন ওই আইনজীবী।

ভারতচক্র পুজো কমিটির সম্পাদক প্রতীক চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, ‘‘এ বার আমাদের পুজো থিম কৃষক আন্দোলনকে উৎসর্গ করে। আমরা বলতে চেয়েছি, ‘ধান দেব না, মান দেব না’। সন্ন্যাসী, তেভাগা থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক কালের কৃষক আন্দোলনকে তুলে ধরাই আমাদের পরিকল্পনা ছিল।’’ যুগ্ম সম্পাদক শৈবাল বোস বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক এবং অতীতে ঘটে যাওয়া কৃষক আন্দোলনের ছবি তুলে ধরতেই এই ভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে। মণ্ডপে প্রবেশের রাস্তাটিকে আমরা ওই ভাবে সাজিয়েছি। চটি এখানে একটি প্রতীকী বিষয়। মণ্ডপের ভিতরে কোথাও চটি নেই। গত ২১ বছর ধরে আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো করছি। কারও ভাবাবেগে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা যা করেছি অনেক ভেবে চিন্তেই করেছি। আইনি নোটিস হাতে পেয়েছি আমরা। আমরাও এর আইনি জবাব দেব।’’

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest