আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফের অনুমতি দিল আদালত। তবে কবে টেস্ট হবে তা এখনও জানা যায়নি। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে হানা দিয়ে সিবিআই বেশ কিছু জিনিস, নমুনা উদ্ধার করেছে। এদিন সেই খতিয়ান আদালতে দেওয়া হয়েছে।
আরজি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গত মঙ্গলবার সিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। সে দিন রাতেই মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র হস্তান্তরিত হয়। বুধবার সকালে দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের একটি বিশেষ দল। সেই দলের সদস্যেরা বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ পৌঁছন আরজি করে। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। ছিল মেডিক্যাল ও ফরেন্সিক দলও। এর পর অভিযুক্তকেও নিজেদের হেফাজতে নেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারেরা। শুরু হয় দফায় দফায় জেরা। এর পর থেকেই বার বার অভিযুক্তের নানা শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঘুরেছে সিবিআই। বুধবারও তাঁকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভারতীয় রেলের বিআর সিংহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, সাইকোমেট্রিক পরীক্ষাও হয়েছে তাঁর।
এবার সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য সিবিআই-কে অনুমতি দিল আদালত। এই টেস্টের মাধ্যমে বোঝা যায়, যে কেউ মিথ্যা বলছে কিনা। সঞ্জয় রায়ের এই টেস্ট করলে জানা যেতে পারে, ওই দিন ঘটনার সময়ে সে ঠিক কী কী করেছিল, তার সঙ্গে আর কেউ ছিল কিনা এবং আরও নানা তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কারও পলিগ্রাফ টেস্ট বা পরীক্ষার মাধ্যমে তার শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি, নাড়ির স্পন্দন তথা গতি, রক্ত চাপ, শরীর থেকে কতটা ঘাম বেরোচ্ছে ইত্যাদি দেখা হয়। কেউ মিথ্যা কথা বললে তার হৃৎস্পন্দন এবং রক্তচাপের পরিবর্তন ঘটে। তার মাধ্যমেই একটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। সবসময় যে ১০০ শতাংশ সঠিক ফল মেলে তা নয়, তবু একটা ধারণা করতে পারেন তদন্তকারীরা।