গত দু’বছরের কথা মাথায় রেখে ছটপুজোর আগের দিনই বন্ধ হয়ে গেল রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবর। আইন উপেক্ষা করে পুণ্যার্থীদের প্রবেশ আটকাতেই এই ব্যবস্থা।
আজ সন্ধে ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রবীন্দ্র সরোবর। কেএমডিএ-র তরফে নোটিস দিয়ে সেই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করা হয়। গত বছর পুলিশ কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়ায় রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে ছটপুজো আটকানো গিয়েছিল।
২০২০ সালে গ্রিন ট্রাইব্যুনাল, কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কড়া ভাবে পালন করে প্রশাসন। এবারও তা এড়াতে চাইছে রাজ্য। বাঁশ ও টিনের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে রবীন্দ্র সরোবরে ঢোকার ১৬টি গেট। পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সকলের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ। মেনকা সিনেমার সামনে সরোবরের যে গেট রয়েছে, সেখানে ঝোলানো ব্যানারে লেখা রয়েছে বিকল্প কোন কোন ঘাটে পুজো করা যাবে।
রবীন্দ্র সরোবরের নিরাপত্তায় তিনশো-সাড়ে তিনশো পুলিশকর্মী থাকছেন। অন্য দিকে, ভোর থেকে সুভাষ সরোবরের আশেপাশের রাস্তাতেও যান নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ। সরোবর-সহ সংলগ্ন এলাকার নজরদারিতে মোট ৫২৪ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় পরিবেশ আদালত এবং কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল সুভাষ সরোবর এবং রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করা যাবে না। আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গত বছর সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। তবে সর্বোচ্চ আদালত আগের রায় বহাল রাখে।