তৃণমলে ‘ধান্দা’ করতে আসা নেতা-অভিনেতাদের কী নয়া ঠিকানা বিজেপি? প্রশ্ন বঙ্গবাসীর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

BJP needs a few intellectuals in Bengal

নিজস্ব প্রতিবেদন :  বিজেপি হিন্দু বাঙালির মন জয়ে কসুর করছে না। নরেন্দ্র মোদী আজকাল প্রায় ভাষণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথার ‘কপি পেস্ট’ করেন। ৭০ শতাংশ হিন্দু বাঙালি বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক। বাঙালি হিন্দুরা ‘রাজনৈতিক ধান্দাবাজ’দের চেনে। তারা বিদ্বেষ রাজনীতি বোঝে। তারা গুজরাট মডেলের খবর রাখে। তারা ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে পদ্মে আশ্রয় নেওয়া ঘাসফুলি নেতাদের চেনে। এমনটাই ধারণা শিক্ষিত,সচেতন , ধার্মিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও নাস্তিক বাঙালির।

বিজেপি ইন্টেলেকচুলা বাঙালির সন্ধান করছে। যারা খানিকটা কবিতা-টবিতা করবে। নাটক করবে। যারা বাঙালির পালস বোঝে। মোটামুটি একটা ফ্যানবেস আছে, এমন নেতা বিজেপির লাগবে। সেই হিসাবে অনেকটাই মানানসই রুদ্রনীল ঘোষ ।

আরও পড়ুন: এপ্রিলের শুরু রাজ্যে ৭ দফায় বিধানসভা ভোট ! ভাবছে কমিশন

আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুদ্রনীল যা বলেছেন, তাতে তিনি যে পাঁকে, থুড়ি পদ্মে পা দিয়েছেন, তা নিয়ে আর সন্দেহ নেই। তবে কিছু নেতা আছে যারা, আসে যায়। এর আগে তৃণমূলে দেখা গিয়েছিল রুদ্রকে। ওই শুভেন্দু, মুকুল, লকেটদের মতোই। তবে তাঁর ঘরানা আর একটু ভালো। ছিলেন লালে, পরে সবুজে, বর্তমানে গেরুয়াগামী।

পুরনো দল সিপিআইএমকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। সঙ্গে সমর্থন করলেন, CAA ও NRC-কে। রুদ্রনীলের প্রশ্ন, ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখার দায় কি শুধু হিন্দুদের?

আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুদ্রনীল জানিয়েছেন, ‘এখনও পর্যন্ত আমি বিজেপি-র প্রতি ভীষণ রাগ হওয়ার কারণ খুঁজে পাইনি। তবে অনেকেই সিএএ ও এনআরসি, কৃষক আইন প্রভৃতি নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে কয়েক জন বামপন্থী যতটা বুঝে গিয়েছেন, অতটা বোধহয় বুঝিনি আমি। লোকে বলে, এই আইনটি নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন। কিন্তু এইটুকু বোঝার জ্ঞান আমার রয়েছে যে, আদপে এ ভাবে ভুল বোঝানো হচ্ছে। এই আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য নাগরিকত্ব দেওয়া। আর তাদেরকে চিহ্নিত করা, যাদের নাগরিকত্ব নেই।’

অভিনেতার প্রশ্ন, বাম জমানায় অনুপ্রবেশ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত লম্ফঝম্প করলেও ক্ষমতায় আসার পর তাঁর সুর বদলে গেল কেন? একই কথা রুদ্র সম্পর্কেও বাংলার লোক ও তুলছে।।তাদের প্রশ্ন রুদ্রের সুরই বা  এমন বদলে যাচ্ছে কেন ?

কেউ কেউ বলছেন, ‘তাহলে তৃণমূলে কী মধু কম পরিতেছে ?’ পিকে কী মধু চোরদের স্বার্থে আঘাত হানছেন ? তাদের কী টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে ? যদি এমনটা হয়, তাহলে ধান্দাবাজরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভিন্ন দল ছেড়ে এসে লুটে নেবার অভিপ্রায়ে যারা তৃণমূলে ঢুকেছিল, তারা এবার বুঝতে পারছে, ঘাসফুলে যা মধু তা আর তাদের কপালে জুটবে না। অগত্যা পদ্ম ছাড়া গতি নেই। ফলে জেনে রাখবেন আগামীতে পদ্ম মুখী হবেন আরও বহু ধান্দাবাজ। তাদের পিলপিল করে তৃণমূলে ঢোকার সাক্ষীও থেকেছিল বাংলা। এবার তাদের শিবির বদলের সময়।

আরও পড়ুন: শীতকালে ত্বক ফেটে যাচ্ছে! দুধ দিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন পাঁচটি ফেসপ্যাক

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest