Saddened by the death of Subrata, Mamata cancels Bhai Phonta ceremony at home

দাদা সুব্রত’‌র প্রয়াণে শোকাহত,বাড়িতে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান বাতিল করলেন মমতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধার প্রয়াণের শোক কিছুতেই সামলানো যাচ্ছে না। ভারাক্রান্ত মন কিছুতেই যেন বশে আসছে না। রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর এমনই দুরূহ পরিস্থিতির মধ্যে সময় কাটাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই অবস্থায় কোনও উৎসবে শামিল হওয়া সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে। তাই শনিবার নিজের বাড়িতে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান বাতিল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই দিনে প্রত্যেক বছর দাদা সুব্রত আসতেন বোন মমতার বাড়িতে। যাঁর হাত ধরেই রাজনীতির হাতেখড়ি। আজ তিনি নেই। তাই তৈরি হয়েছে শূন্যতা। এই শূন্যতায় আজ হৃদয় ভারাক্রান্ত বোন মমতার। তাই এসএসকেএম থেকে বেরিয়ে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‌সুব্রতদার মৃতদেহ আমার পক্ষে দেখা সম্ভব নয়।’‌ আর কোনওদিনই অভিভাবকসম, প্রিয় দাদা আসবেন না বোন মমতার কাছে ভাইফোঁটা নিতে। এই কঠিন বাস্তব মেনে নিতে অসুবিধা হচ্ছে বোন মমতার।

জানা গিয়েছে, রীতি মেনে ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার আচারটুকু হবে। নিজের ভাইদের ফোঁটা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দাদা সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে যে আড়ম্বর–আড্ডা এবং খাওয়া–দাওয়া চলত সেইসব কিছুই আজ বাতিল। এমনকী আর কোনও নেতা–মন্ত্রীকেও আসতে বারণ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ একটু একা সময় কাটাতে চান। কারণ কিছুই হবে না কালীঘাটের বাড়িতে।

দাদার মরদেহ দেখতে সশরীরে আসার মনোবল হারিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সহকর্মীদের ফোন করে তদারকি করেছিলেন সবটুকু। শ্মশানে তোপ ধ্বনি দেগে গান স্যালুট দিল কলকাতা আর্মড পুলিশ। গতকাল বিকেল ৫টায় জ্বলে উঠল চুল্লি। শেষ হল এক বর্ণময় রাজনৈতিক অধ্যায়। চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন সবার সুব্রতদা।

একই পরিস্থিতি রাজ্যের আরেক মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও। তিনিও ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন। শোভনদেব-সুব্রতর সম্পর্ক ছিল দারুণ। একে অপরকে ‘তুই’ সম্বোধন করতেন। বঙ্গ রাজনীতিতে এ এক নজরকাড়া দৃষ্টান্ত ছিল বটে। তাই তো বৃহস্পতিবার রাতে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর তাঁর আক্ষেপ ছিল, ”আর আমাকে তুই বলার কেউ নেই।” বন্ধুবিদায়ে সব উৎসবের রং ফিকে তাঁর কাছে। তাই ভাইফোঁটার নিয়মটুকু পালন বাদে আর কিছুই হবে না তাঁর বাড়িতে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest