হাসপাতাল থেকে ছুটি চান তিনি। শুক্রবার আদালতের নির্দেশের পরেই তা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শুরু হয়েছে তাঁর দড়িটানাটানি। যা চরমে পৌঁছেছে শনিবার বিকেলে। তাঁকে জোর করে হাসপাতালে আটকে রাখা হয়েছে বলে দাবি করে রীতিমতো হাসপাতালের জানলা দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন নারদকাণ্ডে জেলবন্দি কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে হাসপাতালে।
এদিন SSKM হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে দোতলার জানলা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন শোভনবাবু। তাঁর দাবি, হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে। তাঁকে জেল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার পর আদালতের নির্দেশ অনুসারে পদক্ষেপ করুক জেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: আজ নারদ মামলার শুনানি নয় হাই কোর্টে, আরও একদিন জেলবন্দি ৪ হেভিওয়েট নেতা
শোভনবাবুর দাবি, তাঁকে হাসপাতালে আটকে রাখার পিছনে চিকিৎসকদের ওপর চাপ রয়েছে। দরকারে রিক্স বন্ডে সই করতে রাজি তিনি। তাঁকে জেলে পাঠাক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকী তাঁকে হাসপাতালে আটকে রাখতে তাঁর জটিল অসুখ হয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর সিরোসিস অফ লিভার হয়েছে বলে দাবি করা হলেও তার কোনও চিকিৎসা শুরু হয়নি।
শোভনবাবুর বান্ধবী বৈশাখীদেবীর দাবি, শোভনবাবুকে অহেতুক হাসপাতালে আটকে রাখা হয়েছে। তাঁর ওপরে পর্ণশ্রীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য চাপ তৈরি করা হচ্ছে। তিনি মানছেন না বলে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হচ্ছে না।
এই ঘটনার পরেই রিস্ক বন্ডে সই করিয়ে ছুটি দেওয়া হয় কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর, হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলে প্রেসিডেন্সি জেলে ফেরত যাবেন শোভন। সেখান থেকে যেতে পারেন গোলপার্কের বাড়িতে।
আরও পড়ুন: ‘আপনাকে ছাড়া বাঁচব না দিদি’, মমতার কাছে ক্ষমা চেয়ে তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ সোনালি গুহর