রেলভবনের মানচিত্র সময়মতো মেলেনি, মমতার অভিযোগ মেনে নিল রেল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

স্ট্র্যান্ড রোডে রেলের ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মানচিত্র না পাওয়ার যে অভিযোগ তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা স্বীকার করে নিল রেল। তবে পাশাপাশি তারা এটাও দাবি করেছে, ঘটনাস্থলে রেলের আধিকারিকরা ছিলেন। এবং তাঁরা সহযোগিতা করেছেন।

পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মনোজ জোশী সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, “ঘটনাস্থলে রেলের আধিকারিকরা ছিলেন। সেই মুহূর্তে হয়তো মানচিত্র পাওয়া যায়নি। কিন্তু রেলের কর্মী যাঁরা ছিলেন ভবনের কোথায় কী রয়েছে, তাঁরাই সে বিষয়ে উদ্ধারকারীদের সহযোগিতা করেছেন।”

আরও পড়ুন: বাংলা আট দফায় ভোটের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

সোমবার রাত রাত ১১.২০ নাগাদ ঘটনাস্থলে যান মমতা। সব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, “এটা পুরোটাই রেলের জায়গা। কিন্তু এখনও তাঁরা কেউ আসেননি। দমকলের পক্ষ থেকে একটা মানচিত্র চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা দেওয়া হয়নি।” যদিও এর পরই মমতা বলেছেন, দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চান না। তিনি আরও বলেন, ‘‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপুরণ ছাড়াও পরিবারের এক জনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে।’’

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা নগাদ পূর্ব রেলের ভবনের ১৩ তলায় আগুন লাগে। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। মৃতদের মধ্যে রেলের ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার পার্থসারথি মণ্ডল, দমকলের ৪ কর্মী, পুলিশের এক অফিসার এবং আরপিএফ-এর এক জন রয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে ওই ৯ জন দমবন্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন। প্রায় ১০ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার ভোর ৪টে নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে।

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে।

আরও পড়ুন:ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটাই দেশের সবচেয়ে বড় শত্রু, মন্তব্য যোগী আদিত্যনাথের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest