Subrata Mukherjee surrendered in Bidhannagar special court

বিধাননগর বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

পুরনো এক মামলায় সম্প্রতি রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত। সেই ঘটনায় বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণ করলেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী। বিধাননগরের এমপি এমএলএ কোর্টে (সাংসদ ও বিধায়কদের জন্য বিশেষ আদালত) এদিন আত্মসমর্পণ করেন তিনি। ১৬ নভেম্বরের মধ্যে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দিয়েছিল বিধাননগর আদালত।

সূত্রের খবর, পুরানো একটি মামলায় মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। বাম আমলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়েয়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। এক গাড়ির চালক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কড়েয়া থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন। সেই সংক্রান্ত মামলাতেই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ১৬ নভেম্বরের মধ্যে তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে বলেছিল আদালত। অন্যথায় তাঁকে গ্রেফতারও করা যেত। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা।

আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে এদিন সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন,  “আমি তো কিছু জানি না। সব উকিলরা জানেন। প্রায় ২০-২২ বছর আগেকার ঘটনা। একটা ট্রাফিক কেস। যিনি মামলা করেছিলেন তিনি আছেন কি না তাও জানি না। আমাকে ডেট দিয়েই যাচ্ছে। আবার পুজোর পর আসতে বলা হয়েছে। ১৬ নভেম্বর আসতে বলা হয়েছে।”

এই মামলা যখন হয়েছিল, তখন রাজ্যের মসনদে বামেরা। যেদিনের এই ঘটনা, সেদিন গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন সুব্রতবাবু। এর বেশি এখনও কিছু স্পষ্ট নয়। কড়েয়া থানায় এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছিলেন, সেই ঘটনাতেই বিধাননগর বিশেষ আদালতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। তবে এই ঘটনায় আত্মসমর্পণের জন্য ১৬ নভেম্বর অবধি সময় দেওয়া ছিল। তার অনেক আগেই আদালতে হাজির হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার এই সদস্য।

প্রসঙ্গত, মাস পাঁচেক আগেই নারদ মামলায় প্রায় দু’সপ্তাহ সিবিআই হেফাজতে থাকতে হয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। গত ১৭ মে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী  ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র ও আর এক নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁদের গৃহবন্দি করার কথা বলা হয়।

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest