সকালেই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কবে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন, তা নিয়েই যাবতীয় প্রশ্ন ছিল। সেই প্রশ্নের উত্তর মিলতে বেশি সময় লাগল না। সোমবার দুপুরে তৃণমূলে যোগ দিলেন সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সুস্মিতা দেব। তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল যে সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রীর অন্তর্ভুক্তিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে, তা পশ্চিমবঙ্গের কাজেই ফুটে উঠছে। যোগদানের আগে সুস্মিতার সঙ্গে বৈঠক হয় অভিষেকের। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর নবান্নের দিকে রওনা দিয়েছেন সুস্মিতা। সূত্রের খবর, সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
আরও পড়ুন : মার্কিন কূটনীতিবিদদের উপস্থিতিতে মাত্র ৪৫ মিনিটে ক্ষমতা বদল! প্রায় দু’দশক পর কাবুলে তালিবান সরকার
রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে অসমে সংগঠন গড়ে তোলার উপর জোর দেওয়ার পরিকল্পনা করছে তৃণমূল। সেজন্য শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতাকে সামনে রাখা হবে। সেইসঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে ত্রিপুরায় তৃণমূলের শাখা-প্রশাখা বিস্তারেও প্রয়াত কংগ্রেস নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষমোহন দেবের মেয়ের কাঁধে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। বিশেষত ত্রিপুরায় এবার উঠেপড়ে লেগেছে তৃণমূল। প্রায়শই যাচ্ছেন ছোটো-বড়-মাঝারি তৃণমূল নেতারা। সেই পরিস্থিতিতে তৃণমূল উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রতিনিধি সুস্মিতাকে আরও ভালোভাবে কাজে লাগাতে চাইবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
তৃণমূলের সেই লাভের মধ্যেই কংগ্রেস অবশ্য জোরালো ধাক্কা খেল। সোমবার কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে লেখা চিঠিতে সুস্মিতা বলেছিলেন, ‘জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে আমার তিন দশকের সম্পর্ক। আমার এই পুরো সময় যাঁরা আমার সঙ্গে ছিলেন, দলের সব নেতা, সদস্য ও কর্মীদের ধন্যবাদ।’ তাঁকে সব সুযোগ দেওয়ার জন্য ও পথ প্রদর্শনের জন্য সোনিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। যিনি কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। শেষপর্যন্ত রাহুলের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ নেতার জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পথেই হেঁটেছেন সুস্মিতা।
আরও পড়ুন : 13MP ক্যামেরা, Qualcomm প্রসেসর – 5,000 টাকারও কমে লঞ্চ হচ্ছে JioPhone Next