Site icon The News Nest

ব্রাত্য ‘আদি’ বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, বিরোধী দলনেতা হলেন শুভেন্দুই

suvendu

আদি বিজেপিরা উত্তরবঙ্গের ভালো ফল করা নেতাদের প্রাধান্য না দিয়ে সোমবার শুভেন্দু অধিকারীকেই বিরোধী দলনেতা (Leader Of Opposition) হিসাবে ঘোষণা করল বিজেপি (BJP)। প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতা বাছতে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং দলের অন্যতম সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদবকে দায়িত্ব দিয়েছিল বিজেপি।

সোমবার পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে দলের ৭৭ জন বিধায়ককে হাজির থাকতে বলা হয় বলে খবর। সেই বৈঠকের পরে রবিশঙ্কর জানান, বিধানসভায় দলের নেতা এবং বিরোধী দলনেতা হিসেবে নব নির্বাচিত বিধায়কদের নাম প্রস্তাব করার কথা বলা হয়েছিল। দলের বিধায়ক তথা বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নাম প্রস্তাব করেন। ওই নামে আরও ২২ জন বিধায়ক সমর্থন করেন। বাকি বিধায়করা কোনও নাম প্রস্তাব করেননি। তাই শুভেন্দুকেই দলের নেতা হিসেবে নির্বাচিত করা হল।

আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষীদের ধস্তাধস্তি, বিধানসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা

যদিও শুভেন্দুর পাশাপাশি কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের নামও আলোচনায় ছিল বলে সূত্রের খবর। তবে বিজেপি নেতাদের একাংশের বক্তব্য, মুকুল দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছেন। তাঁকে সাংগঠনিক কাজও দেখতে হবে। তা ছাড়া এই প্রথমবার বিধায়ক হলেন মুকুল। তুলনায় অভিজ্ঞ শুভেন্দু। বিধানসভায় থাকার পুরনো অভিজ্ঞতা এবং নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে ‘জায়েন্ট কিলার’ হওয়ায় তাঁকেই বিরোধী দলনেতার মর্যাদা দিতে আগ্রহী ছিল বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

তবে মুকুল ঘনিষ্ঠরা দাবি করেছিলেন, বিরোধী দলনেতা হওয়ার লড়াইয়েই নেই মুকুল। তিনি নিজেই অনিচ্ছার কথা দলকে জানিয়ে দিয়েছেন। সোমবার দেখা গেল, তিনিই শুভেন্দুর নাম প্রস্তাব করলেন।

এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই দলের অন্দরে ক্ষোভের সৃষ্ট হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রাজ্যের আদি এবং আদিবাসী নেতা মনোজ টিগ্গা (Manoj Tigga) বিরোধী দলনেতা পদের অন্যতম দাবিদার ছিলেন বলে শোনা যাচ্ছিল। সেখানে দলবদলু শুভেন্দুকে বিরোধী নেতা করে আদি এবং উত্তরবঙ্গকে অপমান করা হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

বিজেপি পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পরে শুভেন্দু অধিকারী জানালেন, রাজ্য সরকারের গঠনমূলক পদক্ষেপগুলির ক্ষেত্রে সহযোগিতার নীতি নিয়েই চলবেন তিনি। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘যখন ২৯ জন বিরোধী বিধায়ক ছিলেন, তখন আমি বিধানসভার সদস্য ছিলাম। ২৩৫- এর দম্ভ আমি দেখেছি। সেই পরিস্থিতি এখন নেই। আমার অঙ্গীকার হল, হিংসা মুক্ত বাংলা। শান্তির বাংলা। যে কোনও গঠনমূলক কাজে সরকারের সহযোগিতা করব।’’

পরে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, ‘‘গঠনমূলক কাজে অংশগ্রহণের পাশাপাশি আমরা অত্যাচারের প্রতিবাদেও সরব হব।’’ ঐকমত্যের ভিত্তিতেই তিনি বিজেপি পরিষদীয় দল পরিচালনা করবেন জানিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়কের ঘোষণা, ‘‘দল আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করব। কোনও সিদ্ধান্ত শুভেন্দু একা নেবে না, সকলকে নিয়ে চলবে।’’

আরও পড়ুন: মাত্র ৬ মিনিটে শেষ শপথগ্রহণ, একসঙ্গে শপথবাক্য পড়ল মমতার গোটা মন্ত্রিসভা

Exit mobile version