অধিবেশনের প্রথম দিনে শিক্ষকদের বিক্ষোভে উত্তাল বিধানসভা চত্বর। বুধবার প্রায় ৫০ জন মহিলা বিধানসভার উত্তর দিকে ভিভিআইপি গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। কয়েকজন চড়ে বসেন গেটের ওপরে। পর্যাপ্ত মহিলা কর্মী না থাকায় বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আগে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। দীর্ঘক্ষণের বিশৃঙ্খলার পর অবশেষে বাড়তি পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বুধবার থেকেই শুরু হচ্ছে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন। তার আগেই বিধানসভার গেটের বাইরে তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন ‘শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ’-এর সদস্যরা। সমকাজে সমান বেতন-সহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানানো হলেও তাতে কর্ণপাত করছে না সরকার। বিধানসভার ৬ নম্বর গেটের বাইরে বিক্ষোভ-স্লোগানের পাশাপাশি গেটের উপরে উঠে পড়েন কয়েক জন শিক্ষিকা। দীর্ঘক্ষণ গেটের উপরেই দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। নীচেও চলতে থাকে বিক্ষোভ-আন্দোলন।
আরও পড়ুন: ‘দিদির সহযোদ্ধা হতে’ তৃণমূলে যোগ দিলেন অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়, ইম্পা প্রধান পিয়া সেনগুপ্ত
খবর পেয়ে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু গেটের উপরে উঠে পড়া দুই মহিলাকে নামাতে বেগ পেতে হয় পুলিশকর্মীদের। প্রথম দিকে পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশ না থাকায় বিক্ষোভকারীদের হঠাতে বলপ্রয়োগও করতে পারেনি পুলিশ। পরে পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশ এনে শিক্ষিকাদের টেনে-হিঁচড়ে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়।
তৃণমূলের তরফে অবশ্য অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে বিরোধীদের দিকে। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা নতুন কোনও ঘটনা নয়। এর আগে বিধানসভায় ঢুকে জ্যোতি বসুকে তাড়া করা হয়েছিল। তিনি অন্য গেট দিয়ে পালিয়েছিলেন। তবে আমি বলব, বিধানসভায় সর্বদল থাকে। সেখানে কার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে?’’
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, আগে থেকে ঘোষণা করে এই কর্মসূচি করেছেন শিক্ষিকারা। তা ছাড়া বিধানসভা চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা থাকে। সে সব এড়িয়ে কী ভাবে বিধানসভার গেটে উঠে পড়লেন বিক্ষোভ-আন্দোলনে শামিল শিক্ষিকারা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন: চলতি সপ্তাহে বৃষ্টিতে ভাসতে পারে রাজ্যের এই জেলাগুলি