ব্রিগেড সমাবেশের বিকেলেই দেখা হওয়ার কথা ছিল। তবে রবিবার না হলেও রাজনৈতিক জল্পনা সত্যি করে সোমবার নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদব। দলীয় একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে গতকালই তিনি কলকাতা এসে গিয়েছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে আজ নতুন রাজনৈতিক জল্পনা উস্কে দিয়ে বৈঠকে বসলেন তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে। সূত্রের খবর, এই বৈঠক প্রায় গত ১৫ মিনিট ধরে চলছে।
এদিন বিকেলে নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তেজস্বী। লালুপ্রসাদের ছেলে জানিয়েছেন, ‘দেশে বিজেপিকে রুখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকা একান্ত জরুরি। তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সর্বশক্তি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে থাকবে রাজদ। সভ্যতাকে বাঁচাতে গেলে বিজেপিকে সরাতেই হবে।আসন্ন বিধানসভা ভোটে দিদিকে জেতাতে পূর্ণ সমর্থন করব। আমার সর্বোচ্চ শক্তি দিদিকে জেতানোর জন্যই উৎসর্গ করব।’
আরও পড়ুন: ব্রিগেডের মেনু রুটি -আলুর দম, লাড্ডু, বাড়ি বাড়িতে তৈরি হচ্ছে দশ লক্ষের খাবার!
পালটা সৌজন্য দেখিয়ে মমতা বলেছেন, ‘গত বিধানসভা নির্বাচনে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কথা ছিল তেজস্বীরই। কিন্তু বিজেপির কৌশলে তা সম্ভব হয়নি। আগামীর জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানাই।এখানে আমি লড়ছি মানে তেজস্বী লড়ছে। তেজস্বী লড়ছে মানে আমি লড়ছি।’
তবে এদিন আসনরফা নিয়ে মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই। রবিবার তেজস্বী কলকাতায় পা দেওয়ার পরই রাজ্যের একাধিক আসনে রাজদ লড়তে ইচ্ছুক বলে জানা যায়। সেজন্য তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা এগিয়েছে বলেও জানান দলের নেতারা। রাজদ সূত্রে খবর মেলে, পশ্চিমবঙ্গে ৫টি আসনে লড়তে চায় তারা। কিন্তু এব্যাপারে এদিন কোনও কথা বলেননি তেজস্বী। বরং ইঙ্গিতপূর্ণভাবে বলেছেন, ‘তৃণমূলের লড়া মানেই আমাদের লড়া। বাংলায় বসবাসকারী বিহারীদের বলবো, আপনারা মমতাদির পাশে থাকুন। তাঁর হাত শক্ত করুন।’
আর এই কথা শুনে রাজনৈতিক মহলের মত, এ রাজ্যে প্রার্থী দেবে না আরজেডি। বরং মমতাকেই সমর্থনের বার্তা দিয়ে গেলেন দলের সুপ্রিমো।
আরও পড়ুন: পামেলা কান্ড: গ্রেফতার বিজেপি নেতা রাকেশ-ঘনিষ্ঠ সূরয, মিলল নয়া তথ্য