দেশের তাবড় নেতাদের সম্পত্তি যখন ক্রমশই বাড়ছে, বারবারই আর্থিক তছরূপের দায়ে শ্রীঘরের ঘানি টানতে হচ্ছে নামকরা নেতাদের, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে অর্ধেকেরও বেশি। এটাই সত্যি। ২০২১ সালে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া তথ্য অন্তত তাই বলছে।
ভবানীপুর উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সঙ্গে হলফনামাও। সেখানে নিজের যাবতীয় সম্পত্তি এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরেছেন মমতা। ওই হলফনামা অনুযায়ী, গত আর্থিক বছরের তুলনায় এই আর্থিক বছরে তাঁর পাঁচ লক্ষ টাকা আয় বেড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তৃণমূল প্রার্থীর আয় ছিল ১০ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩৭০ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮৪৫ টাকা। আবার ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগের হলফনামা অনুসারে, তখন মুখ্যমন্ত্রীর আয় ছিল ৯ লক্ষ ১৮ হাজার ৩০০ টাকা।
আরও পড়ুন: নিমতলা ঘাট স্ট্রিটে কাঠের গুদামের আগুন ছড়াল বস্তিতে, ঘটনাস্থলে দমকলের ১০ ইঞ্জিন
এখন মমতার ব্যাঙ্কে জমা রয়েছে ১৩ লক্ষ ১১ হাজার ৫১২ টাকা। তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ২৯ টাকা। ওই সম্পত্তির মধ্যেই রয়েছে ৯ গ্রাম ৭০০ মিলিগ্রাম অলঙ্কার। সব মিলিয়ে এই সম্পদই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর। এ ছাড়া মমতার নামে কোনও বাড়ি, গাড়ি, চাষযোগ্য জমি এবং পৈতৃক সম্পত্তি নেই। আবার তাঁর নামে কোনও বকেয়া কর বা ঋণও নেই।
২০১৬ সালের নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে হলফনামা পেশ করেছিলেন তার সঙ্গে ২০২১ সালের হলফনামার তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি সম্পদ কমেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন: তারকা প্রচারকের তালিকায় নাম তবু প্রচারে নামবেন না বাবুল- জানালেন নিজেই