শনিবার আচমকাই ইস্তফা দেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী। বিজয় রূপাণীর ইস্তফার কারণ ধোঁয়াশাই থেকে গিয়েছে। তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই ভাবে ইস্তফা বিজেপি অন্দরেও সাংগঠনিক ক্ষেত্রে একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।এই নিয়ে কটাক্ষ করতে শোনা যায় তৃণমূলকেও। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মাত্র ৬ মাসে চতুর্থ মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা! বিজেপিতে হচ্ছেটা কী?”
মমতার এই মন্তব্যে বেজায় গোঁসা হয়েছে দিলীপ ঘোষের। তিনিও রাগ করেই পতিক্রিয়া দিয়েছেন। দিলীপ বলেছেন,“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তো পিছনের দরজা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হতে হয়েছে। আগে নিজের দলের দিকে তাকান।”
রবিবার নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমাদের দলে কী চলছে, ওটা নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না। আজকে দলটাকে বাঁচানোর জন্য পেছনের দরজা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হতে হচ্ছে ওঁকে। জোর করে বাই ইলেকশন করাতে হচ্ছে।” তিনি বলেন, “লোককে লাইনে দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন করতে হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার ইস্তফা দিয়ে দেখুন, পার্টি টা থাকে কিনা। অন্যের বাড়িতে তাকানোর আগে নিজের বাড়িতে ভালো করে তাকিয়ে দেখুন।”
এদিকে, গুজরাটের নতুন মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের জন্য বিজেপি ইতিমধ্যেই নিয়োগ করেছে দুই পর্যবেক্ষক। মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের বিশেষ দায়িত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর ও প্রহ্লাদ যোশীকে। বেলা ৩ টের সময় বিধায়ক দলের বৈঠক। সেখানেই ঘোষণা হবে কে নতুন মুখ্যমন্ত্রী। গুজরাট বিজেপি সূত্রে খবর, আপাতত গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে নাম রয়েছে নীতিন প্যাটেল, মনসুখ মাণ্ডব্য, আরসি ফালদু, পুরুষোত্তম রুপালা।