কলকাতার রাস্তায় এঁকে বেঁকে পথচলা চলা শুরু করল শিশুদের লাইব্রেরি, বিশ্বে বেনজির !

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

শনিবার বিশ্বের প্রথম শিশু পাঠাগারসমেত ট্রামের উদ্বোধন হল কলকাতায়। কারণ আজ শিশু দিবসও বটে। এই গোটা বিষযটির নাম রাখা হযেছে, ‘‌দ্য কলকাতা ইয়ং রাইডার্স ট্রামকার।’‌ পশ্চিমবঙ্গ ট্রাম পরিবহন নিগম এবং এপিজে আনন্দ চিলড্রেন্স লাইব্রেরির যৌথ উদ্যোগে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এখানে দুটি বিষয় একসঙ্গে হবে। এক, নতুন শিশু পাঠকদের আকর্ষণ করবে। দুই, শিশুদের নিয়ে মা–বাবা এখানে উঠবেন।ফলে কিছুক্ষণের জন্য তাঁরাও নস্টালজিক হয়ে পড়বেন। চলন্ত অবস্থায় বই পড়া একটা আলাদা আনন্দ বয়ে নিয়ে আসবে। আসলে এখন গল্পের বই পড়ার অভ্যাস নতুন প্রজন্মের নেই বললেই চলে। কারণ এখন স্মার্টফোন থেকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সবই মিলে যাচ্ছে হাতের নাগালে। কিন্তু বইয়ের স্বাদ কী এভাবে ভার্চুয়ালি পাওয়া যায়?‌

আরও পড়ুন : ভুটু ভাইজানে’র স্মৃতি উস্কে শিশু দিবসে হাজির ‘হামি ২’-র পোস্টার

ইতিবাচক দিক হল এখানে শিশুদের জন্য থাকছে হাজার বই। কিন্তু কী করে এই ট্রাম মিলবে?‌ এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজনভীর সিং কাপুর বলেন, ‘‌এই ট্রাম ছাড়বে শ্যামবাজার থেকে ধর্মতলা এবং ধর্মতলা থেকে গড়িয়াহাট রুটে। রোজ এই ট্রাম সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিলবে।’‌

ঘরবন্দি শিশুরা এখন ট্রামে উঠে মুক্তির স্বাদ পাবে। করোনার জেরে লকডাউন এবং ঘরে থেকে শিশুরাও হাঁফিয়ে উঠেছে। সেখান থেকে মিলবে মুক্তি।এখানে শিশুদের কোনও ভাড়া লাগবে না। লাগবে না কন্যাশ্রী প্রকল্পে থাকা মেয়েদেরও। শুধু মা–বাবার ভাড়া লাগবে, তাও ট্রামের যে ন্যূনতম ভাড়া হয় সেটাই।

সেপ্টেম্বরে যে ট্রাম উদ্বোধন হয়েছিল, সেখানে ছিল বিপুল পরিমাণ বই এবং পরীক্ষার্থীদের জন্য বইপত্র। চেক প্রজাতন্ত্রেও এমনটা দেখা যায়। কিন্তু চলন্ত ট্রেনে শিশু পাঠাগার এটা বিশ্বে প্রথম।

আরও পড়ুন : Kali Puja 2020 Wishes: প্রিয়জনদের সঙ্গে বাড়িতেই কাটান এবারের উৎসব, শেয়ার করুন এই শুভেচ্ছাবার্তাগুলি

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest