বাঁশদ্রোণীতে যুবককে ধর্ষণের অভিযোগ। যে রংয়ের দোকানে কাজ করতেন ওই যুবক, অভিযুক্ত সেই দোকানের মালিক শুভজিৎ সরকার। গত দু’মাস ধরে কর্মচারী ওই যুবককে তিনি ধর্ষণ করে আসছিলেন বলে অভিযোগ। শুভজিৎকে গ্রেফতার করেছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে।
জানা গিয়েছে, বাঁশদ্রোণীর মধ্যপাড়ার বাসিন্দা বছর ছাব্বিশের যুবক যোগ দিয়েছিলেন ‘ডিকেএস হোমপেন্ট’ নামে এক সংস্থার কাজে। তার মালিক শুভজিৎ সরকার। ওই যুবকের বাবা অভিযোগ করেছেন, তাঁর ছেলের উপর শুভজিৎ সরকার এবং সংস্থার আরও কয়েকজন মিলে শারীরিক অত্যাচার চালিয়েছে। জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে তার সঙ্গে। শুভজিৎ ব্রহ্মপুরের বাসিন্দা। ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ৩৪১, ৩৭৭, ৩৪, ৫০৬ ধারায় অভিযোগ বাঁশদ্রোণী থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রসঙ্গত যৌন নির্যাতনের যে ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে, ভারতে তা নিষিদ্ধ। ফলে জটিলতা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা।
আরও পড়ুন: লাইনের পাশে বসে গেল ২০০ মিটার মাটি! দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়ায় ধীর গতিতে চলছে মেট্রো
থানায় দায়ের করা মামলায় carnal sex-এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই ধরনের যৌন নির্যাতনকে ‘প্রকৃতি বিরুদ্ধ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় এ ধরনের নির্যাতনের মামলা চলতে পারে। অভিযোগকারী যুবক নিজে থেকেই ইতিমধ্যে এসএসকেএম হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে পুলিশের তরফেও ফের এক বার তাঁর পরীক্ষা করানো হবে। তার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে পুলিশ।
অভিযোগকারীর দাবি, স্ত্রী সঙ্গে থাকেন না। তিনি কখন বাড়ি ফেরেন, বয়স্ক মা-বাবা তা নিয়ে মাথা ঘামাতেন না। সেই সুযোগেই তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার চালাতেন শুভজিৎ। তা সহ্য করতে না পেরে চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে চিঠি দেন তিনি। কিন্তু তাতে মারধর করা হয় তাঁকে। হুমকিও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সারা বছরই বানানো যাবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, কলকাতায় স্থায়ী কেন্দ্র চালু KMC-র