আজ বিকেল সাড়ে চারটের সময় দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের (TMC Election Commission) দ্বারস্থ হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। ভবানীপুর, খড়দহ সহ রাজ্যের সাত বিধানসভা আসনে দ্রুত নির্বাচন চেয়ে আজ ইসি’র (Election Commission) দফতরে হাজির হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। ভোটের প্রচারের জন্য সাত দিন সময় দিয়ে যাতে নির্বাচন করানো হয়, নির্বাচন কমিশনে গিয়ে সেই দাবি জানাবে তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দল৷ এই প্রতিনিধি দলে তৃণমূলের ৬ সাংসদ। থাকছেন সুদীপ বন্দোপাধ্যায়, সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সুখেন্দু শেখর রায় ও ডেরেক ও’ব্রায়ান।
আরও পড়ুন: দুই মেল আয়ার ‘মার’, আরজিকরে মৃত্যু হল রোগীর
এই মুহূর্তে রাজ্যে পাঁচটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন এবং দু’টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বাকি৷ অর্থাৎ সবমিলিয়ে সাতটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে৷ রাজ্য প্রশাসন যে উপনির্বাচনে জন্য প্রস্তুত, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে তা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ কারণ এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজেও চাইছেন, যত দ্রুত সম্ভব উপনির্বাচনগুলি সেরে ফেলুক নির্বাচন কমিশন৷ যদিও প্রকাশ্যে না বললেও তৃণমূলের অন্দর মহলের খবর, উপনির্বাচন পিছিয়ে দিতে অযথা জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে বলেই মনে করছে তারা৷ সেই কারণেই উপনির্বাচন করানোর জন্য এবার সরাসরি কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্যের শাসক দল৷
যে কেন্দ্রগুলিতে উপনির্বাচন বাকি, তার মধ্যে রয়েছে ভবানীপুর কেন্দ্রও৷ ওই কেন্দ্র থেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ নন্দীগ্রামে পরাজিত হওয়ায় শপথ গ্রহণের ছ’ মাসের মধ্যে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে৷ এ ছাড়াও খড়দহ, দিনহাটা, শান্তিপুর এবং গোসাবা কেন্দ্রে উপনির্বাচন বাকি রয়েছে৷ প্রার্থীদের মৃত্যুতে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রে ভোটগ্রহণই হয়নি৷ ফলে ওই দুই কেন্দ্রেও ভোট হবে৷
তৃণমূল দ্রুত উপনির্বাচন চাইলেও বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের উপরেই ছাড়তে চায় বিজেপি৷ তবে উপনির্বাচনের থেকেও রাজ্য পুরভোট করানোর দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি৷ বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘কমিশন যদি মনে করে সাত দিনের প্রস্তুতিতে রাজ্যে উপনির্বাচন সম্ভব তাহলে তাই হবে৷ কিন্তু রাজ্যে এই মূহূর্তে রাজ্যের যা পরিস্থিতি রয়েছে, তাতে উপনির্বাচন করানোর মতো পরিবেশ আছে বলে আমরা মনে করি না৷ কারণ কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, সর্বত্র আমাদের কর্মীরা ঘরছাড়া৷ বিজেপি কর্মীদের রেশন, টিকা দেওয়া হচ্ছে না৷ ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক হলেই যেন উপনির্বাচন করানো হয়৷’ এছাড়া বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করছে আগে রাজ্যের বাকি থাকা পৌরসভাগুলোতে নির্বাচন করিয়ে নেওয়া হোক।
তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় অবশ্য বলেন, ‘এখন করোনা পরিস্থিতি অনেক ভাল৷ সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী ছ’ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন হওয়া উচিত৷ করোনা সংক্রমণের হার যেহেতু একেবারেই কম এবং রাজ্য সরকার সব রকম ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে, তাতে নির্বাচন করানোর জন্য এটাই আদর্শ সময়৷” বিজেপির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তার মন্তব্য, “নির্বাচন করানো কমিশনের দায়িত্ব। ওনারা এত কথা কেন বলছেন?”
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডে সফররত ভারতীয় দলের এক ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত ! রয়েছেন কোয়ারেন্টাইনে