Site icon The News Nest

নারদ-কাণ্ডে বেআইনিভাবে গ্রেফতারি, সিবিআই-এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল তৃণমূল

firhad trinomul

অভিযোগ জানানো হয়েছিল আগেই। এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই-এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল তৃণমূল কংগ্রেস। বেআইনিভাবে নেতাদের গ্রেফতার করার অভিযোগে এই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে গড়িয়াহাট থানায়।

গত সোমবার কোনও নোটিস ছাড়াই নাটকীয়ভাবে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ চার নেতাকে। গ্রেফতার হন পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। এরা প্রত্যেকেই নারদ মামলায় অভিযুক্ত। আর সেই গ্রেফতারির পরই পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মহিলা তৃণমূলের তরফ থেকে এই চিঠি দেওয়া হয়। সিবিআই অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল এই চিঠিতে।

আরও পড়ুন: বিকেলে ভিজতে পারে কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গ, স্বস্তির খবর দিল হাওয়া অফিস

মোট ৬টি ধারায় এই মামলা করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আর তিনি গড়িয়াহাট এলাকার বাসিন্দা। সেই জন্যই গড়িয়াহাট থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অতিমারীর মধ্যে নিয়ম ভেঙে কীভাবে বাড়িতে ঢুকে নেতাদের গ্রেফতার করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। অতিমারী আইন ভাঙার অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।

তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে এই তিন বিধায়ককে। তৃণমূল দাবি করছে, বিধানসভার স্পিকারের অনুমতি না নিয়ে তিন বিধায়ককে কেন এ ভাবে গ্রেফতার করা হল। দলের দাবি, রাজ্যপাল যেদিন অনুমতি দিয়েছেন, সেদিনও স্পিকার ছিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার পুলিশ কমিশনারকে দেওয়া তৃণমূলের চিঠিতে সরাসরি অভিযোগ করা হয় মোদী-শাহের বিরুদ্ধে। চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, পুরো ঘটনার পিছনে রয়েছে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের হাত। তাঁদের নির্দেশেই কাজ করছেন রাজ্যপাল। বিধানসভা ভোটে জিততে ব্যর্থ হয়েই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও মন্তব্য করা হয়।

এ দিকে, আজ বুধবারই হাইকোর্টে চলছে নারদ মামলার শুনানি। মামলা নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টে সরানোর আর্জি জানানো হয়েছে সিবিআই-এর তরফ থেকে।

আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে না লড়েও মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারেন মমতা

Exit mobile version