ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেবের একের পর এক কীর্তি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। শাসক দলের একাধিক নেতাদের সঙ্গে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে দেবাঞ্জনের। সেই সূত্রেই বিজেপির দাবি, গোটা বিষয়টির সঙ্গে জড়িত তৃণমূল একাধিক নেতা-নেত্রী। ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। এরই মধ্যে শুক্রবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্বাস্থ্যভবনে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেছেন, ‘জাল টিকা নিয়ে এখনও কেউ মারা যাননি। কিন্তু গেলে তখন বলা হত, মোদীজি যে ভ্যাকসিন পাঠিয়েছেন, তা থেকেই এমন হয়েছে। আমাদের মনে হয়, এটা বড় ষড়যন্ত্র। তাই বড় কোন এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করতেই হবে।’
শুভেন্দুর এই দাবির পরই পাল্টা সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি পাল্টা বলেছেন, ‘নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও ললিত মোদী, নীরব মোদীদের ছবি রয়েছে। তার মানে কি আমরা বলতে পারি, ব্যাঙ্ক লুঠের নেপথ্যে প্রধানমন্ত্রীও আছেন? তা তো আমরা বলতে পারি না।’ একই সুর ফিরহাদ হাকিমের কথাতেও। তিনি বলেন, ‘মেহুল চোকসির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ছবি আছে। তার মানে কি মেহুল চোকসিকে পালিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী সাহায্য করেছেন?’
আরও পড়ুন: কাল থেকে দৈনিক ৪ লক্ষ টিকা, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, ১২ বছর পর্যন্ত বাচ্চার মায়েদের অগ্রাধিকার
এরপরই শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, ‘শুভেন্দুর বিবৃতি হল গরুর গাড়ির হেডলাইট। ও কী সিবিআই চাইবে, সিবিআই-এর তো আগে ওকে গ্রেফতার করা উচিৎ। নারদ, সারদা সব মামলাতেই অভিযুক্ত শুভেন্দু। ওর মুখে সিবিআই চাওয়ার কথা মানায় নাকি?’ যদিও দেবাঞ্জন দেব-এর বিষয়ে কুণালের মন্তব্য, ‘একটা অদ্ভূত অপরাধ করেছেন দেবাঞ্জন দেব নামে ওই ব্যক্তি। সে জন্য তাঁর উপযুক্ত শাস্তি হবেই।’
কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের কথায়, ‘বিজেপির একটাই কুমীর ছানা, সিবিআই। এখানে পুলিশ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে। অপরাধ যারা করেছে, তারা শাস্তি পাবেই।’
এদিকে দেবাঞ্জনের সঙ্গে ছবির প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘আমার সঙ্গে দেখা হলে অনেকেই সেলফি তোলে। সেই সময় কি আমি সার্টিফিকেট চাইব?’ একই সুর বিধায়ক তাপস রায়ের কথায়। বলেন,’আমি এই দেবাঞ্জন দেবকে চিনিই না। কখন কোথায় ছবি তুলেছে, তাও জানি না।’ দেবাশিস কুমারও জানান, দেবাঞ্জন দেব নামে এই ব্যক্তিকে তিনিও চেনেন না।
আরও পড়ুন: Fake Vaccination Drive: ভুয়ো টিকা-কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে