মনোনয়ন জমা দিয়ে যাওয়ার পথেও টালিগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কর্মীরা। সোমবার আলিপুরে জেলা শাসকের দফতরে মনোনয়ন পেশ করতে যাওয়ার পথে বাবুলের গাড়ি ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সমর্থকরা। পুলিশ ছিল নীরব দর্শকের ভূমিকায়। বিক্ষোভের মধ্যেই গাড়ি থেকে নেমে বিক্ষোভকারীদের ভিকট্রি সাইন দেখান বাবুল। তার পর ঢুকে যান জেলাশাসকের দফতরে।
এবার টালিগঞ্জ কেন্দ্রে বাবুল সুপ্রিয়কে প্রার্থী করেছে বিজেপি। এই কেন্দ্রে বাবুলের প্রতিপক্ষ অরূপ বিশ্বাস। বাম ও কংগ্রেস জোটের প্রার্থীর দেবদূত ঘোষ।তবে আসনটি থেকে লড়তে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ম মতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরই বাবুলকে টালিগঞ্জ থেকে প্রার্থী করে বিজেপি।
মনোনয়ন পেশের পর বাবুল বলেন, ‘টালিগঞ্জে যে ২ ভাইয়ের দাদাগিরি চলে তা উপড়ে ফেলতে দল আমাকে পাঠিয়েছে। এখানে তৃণমূলকে সমর্থন না করলে কাজ কেড়ে নেওয়া হয়। বিজেপি এর পরির্তন ঘটাবে।’ প্রচারের শুরু থেকেই টালিগঞ্জে নানা জায়গায় তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে বাবুলকে। আর তত সুর চড়িয়েছেন এই বিজেপি নেতা। টালিগঞ্জ স্টুডিয়ো পাড়ায় ২ ভাইয়ের দাদাগিরি শেষ করবেন বলে হুঙ্কার দিয়েছেন। সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেছেন তিনি।
গত সপ্তাহে ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছে একটি ধাবায় চা খেতে গাড়ি দাঁড় করান বাবুল। গাড়িতেই ছিলেন তিনি। এরই মধ্যে তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দেয় তৃণমূলের কর্মীরা। ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান।
আরও পড়ুন: নিউ মার্কেটের হোটেলে একই পরিবারের তিনজনের দেহ উদ্ধার, দানা বাঁধছে রহস্য
অন্যদিকে, রবিবার সাত সকালে গল্ফগ্রীন সেন্ট্রাল পার্কে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন বাবুল। সেন্ট্রাল পার্কে তখন অন্য দিনের মতো প্রাতঃভ্রমণকারীদের ভিড়। সেন্ট্রাল পার্কের চার ধারে এক চক্কর হেঁটে জনসংযোগ সারতে পার্কের ভেতরে ঢুকে পড়েন বাবুল সুপ্রিয়। সঙ্গে ছিলেন এলাকার চেনা মুখ ও স্থানীয় বিজেপি নেতা দিলীপ চন্দ।
প্রাতঃভ্রমণকারীদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের মাঝেই প্রশ্ন ভেসে আসে,”নির্বাচনে জিতলে এই রাজ্যে আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কে?” হঠাৎ করেই উড়ে আসা এই প্রশ্নে খানিকটা থমকে যান বাবুল সুপ্রিয়। চটজলদি পরিস্থিতি সামাল দিতে বাবুল উত্তর দেন,”সেটা নির্বাচন পরবর্তী পর্যায়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে।”
বাবুল উত্তর দিলেও টালিগঞ্জ কেন্দ্রের গেরুয়া শিবিরে প্রার্থী খানিকটা অস্বস্তিতে পড়েন, সেটা স্পষ্ট। পোড় খাওয়া রাজনীতিকের মতোই আলোচনা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেন বাবুল। খোঁজ নেন শরীরচর্চা করতে আসা প্রাতঃভ্রমণকারীদের নিত্য দিনের সুবিধা ও অসুবিধার।
এরপর অবশ্য আর বেশি সময় সেন্ট্রাল পার্কে ছিলেন না বাবুল সুপ্রিয়। বিক্রমগড় সহ দক্ষিণের অন্যান্য জায়গায় নির্বাচনী প্রচারের কর্মসূচি থাকায় দ্রুত বেরিয়ে যান বাবুল সুপ্রিয়।
আরও পড়ুন: বিজেপির প্রার্থী হচ্ছি না, নাম ঘোষণার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন সোমেন-জায়া