আগের থেকে ভাল আছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক আছে। বুধবারই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে, সূত্রের খবর এমনই। তবে পরবর্তী একসপ্তাহ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকতে হবে৷ এই তথ্য মিলেছে। আবার বাড়িতে চিকিৎসা নিয়মিত চলবে। এই চিকিৎসা অবশ্য বেশিরভাগটাই পর্যবেক্ষণ বলে চিকিৎসকদের সূত্রে খবর।
দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। মঙ্গলবার সকালে প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, বুদ্ধদেবকে বাইপ্যাপে রাখা হয়েছে। অক্সিজেনের পরিমাণও কমানো হয়েছে। মিনিটে ১-২ লিটার অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫ শতাংশ। দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। ফলে কমেছে কৃত্রিম অক্সিজেনের চাহিদা। এমনকী নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তাঁর রক্তচাপ৷ হৃদস্পন্দনের গতি প্রতি মিনিটে ৬৪৷ এখন তিনি স্বাভাবিকভাবেই খাবার খেতে পারছেন৷ তাঁর রেমডেসিভিরের কোর্স শেষ হয়েছে। তবে স্টেরয়েড এখনও চলছে৷
আরও পড়ুন: রবিবার বিকেলে হঠাৎই নবান্নে সস্ত্রীক আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়
গত ১৮ মে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। একইসঙ্গে তাঁর স্ত্রীও কোভিড পজিটিভ হন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু হয়। তিনি সুস্থ হয়ে বাড়িও ফেরেন। গত মঙ্গলবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটা কমে যায়।
উদ্বেগ বাড়তে থাকায় চিকিৎসকরা তাঁকে আর বাড়িতে রাখার ঝুঁকি নেননি। ভর্তি করা হয় উডল্যান্ডস হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী, ধ্রুব ভট্টাচার্য, সৌতিক পণ্ডার অধীনে চিকিৎসা শুরু হয়। পরে তাঁর জন্য ৫ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি হয় এবং থাকেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাউজ ফিজিশিয়ান সোমনাথ মাইতিও।
আরও পড়ুন: ‘পরিকল্পনা মতোই মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক বয়কট করেন’, টুইটে বিস্ফোরক দাবি রাজ্যপালের