ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রায় ৪৮ ঘন্টা আগে থেকে গোটা বিধানসভা এলাকাতে ১৪৪ ধারা জারি করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, নজিরবিহীন ভাবে শুধু ভবানীপুর কেন্দ্রের জন্যে ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। কিন্তু কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও একাধিক বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটে ভবানীপুর বিধানসভা এলাকাতে। আর সেখান থেকে কার্যত শিক্ষা নিয়েই কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না প্রশাসন। কারণ রাত পোহালেই ভোট গণনা। আর সেদিকে তাকিয়ে কড়া নিরাপত্তার মোড়কে মুড়ে ফেলা হচ্ছে গোটা এলাকাকে। জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল ৮টা থেকে গণনা শুরু হবে। আর যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গণনা কেন্দ্রের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশের তরফে এই বিষয়ে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ইভিএম রাখা আছে শাখাওয়াত মেমোরিয়াল গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুলে। পোস্টাল ব্যালট রাখা আছে আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে। নন্দীগ্রামে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে মামলাও চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। তাই এই বাড়তি নিরাপত্তা বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ২৮৭টি বুথের ইভিএম সিল করা হয়েছিল সেদিনই। তারপর তা নিয়ে আসা হয় শাখাওয়াত স্কুলের স্ট্রং রুমে। সেখানেই এখন নিরাপত্তা বলয়। পাহারার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ২৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান পালা করে সেখানে নজরদারি চালাচ্ছেন। সঙ্গে রয়েছে কলকাতা পুলিশের নজরদারিও। পুরো ঘিরে রাখা হয়েছে স্কুল চত্ত্বর।
আগামীকাল, রবিবার সকালে শাখোয়াত মেমোরিয়াল স্কুলে নিয়ে আসা হবে পোস্টাল ব্যালট। সেটাও বেশ কড়া পাহারায়। এই ঘটনা না ঘটা পর্যন্ত এমন কড়া পাহারাই থাকবে। বাইরের কেউ যাতে ভিতরে ঢুকতে না পারেন তার জন্য কড়া ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখানের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এমনকী প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা নিয়ে।