ভোটের আগে রাজ্য পুলিশে একাধিক রদবদল, কলকাতার নয়া CP সৌমেন মিত্র

কলকাতার নয়া পুলিশ কমিশনার হলেন সৌমেন মিত্র (Soumen Mitra)। এতদিন রাজ্য পুলিশের এডিজি ট্রেনিং পদে ছিলেন তিনি। পাশাপাশি কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে এডিজি সিআইডি পদে গেলেন অনুজ শর্মা।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ভোটের মুখে রাজ্য পুলিশের শীর্ষস্তরে হল একঝাঁক রদবদল। শনিবার প্রকাশিত নির্দেশিকায় ২৪ জন পুলিশ আধিকারিককে বদলি করা হয়েছে। তার মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কলকাতা-সহ ৪ পুলিশ কমিশনারের বদলি। কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার হয়েছেন সৌমেন মিত্র।

ভোটের আগে প্রশাসনিক স্তরে এহেন বদলির জেরে নানা মহলে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, নির্বাচনের সময় কমিশনের কোপ এড়াতেই কি এদের অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি করা হল?  এই বদলির তালিকায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নাম কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার। তাঁকে সিআইডি-র আইজিপি ও এডিজি পদে আনা হয়েছে। আর কলকাতার নতুন নগরপাল হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন আইপিএস সৌমেন মিত্র। অন্যদিকে, ড. দেবাশীষ রায়কে সরানো হয়েছে এডিজি ও আইজিপি-এপি পদ থেকে। তাঁকে ট্রেনিং বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।

সিআইডি-র আইজিপি ও এডিজি পদ থেকে আইপিএস সিদ্ধার্থনাথ গুপ্তকে দক্ষিণবঙ্গের আইজিপি ও এডিজি পদে নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আলোচনার কেন্দ্রে নাম থাকা আরেক আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিংকে এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদ থেকে সরিয়ে আনা হচ্ছে ড. দেবাশীষ রায়ের ছেড়ে যাওয়া পদে। অন্যদিকে এডিজি আইনশৃঙ্খলা করা হয়েছে জাভেদ শামিমকে।

আরও পড়ুন: মহম্মদ সেলিম-সহ কৃষক আন্দোলন সমর্থক ২৫০ অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করল টুইটার

বারাকপুর, হাওড়া ও বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনারদেরও এদিন বদলির নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। মনোজ কুমার ভার্মার জায়গায় অজয় কুমার নন্দ বারাকপুরের নতুন কমিশনার হয়েছেন। হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের নতুন কমিশনার হয়েছেন সি সুধাকর, তিনি কুণাল আগরওয়ালের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে আইপিএস মুকেশকে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে সুপ্রতিম সরকারকে নিয়ে আসা হয়েছে।

এই বদলির তালিকায় রয়েছেন অজয় মুকুন্দ রানাডে, রাজীব মিশ্র, ত্রিপুরারি অর্থব, জয়ন্ত কুমার পাল, তন্ময় রায় চৌধুরী, প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী, শিস রাম ঝঝরিয়া, ভি সলোমন নেশাকুমার, ভিদিত রাজ ভুন্দেশ, অনুপ জয়সওয়াল, কৌস্তভদীপ্ত আচার্য এবং মীর শাকির আলির মতো উর্দিধারীরা।

দিন কয়েকের মধ্যেই ঘোষণা হতে চলেছে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তার পর রাজ্য প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের হাতে। তার পর ফের কোনও রদবদল হয় কি না সেটাই এখন দেখার।

আরও পড়ুন: এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন টেলিপর্দার ‘বাহা’ ‘ঝিলিক’ ও ‘লোকনাথ বাবা’

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest