কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিলেন প্রকাশ শ্রীবাস্তব। প্রধান বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটক, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বম্বে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত।
মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের ১৩ বছর বিচারপতি দায়িত্ব সামলাছেন প্রকাশ শ্রীবাস্তব। ২০০৮ সালে সেখানে তিনি বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন। ২০১০ সালে স্থায়ী বিচারপতির পদ পান। তার আগে সুপ্রিম কোর্টে প্রায় দুই দশক দেওয়ানি ও কর বিষয়ক মামলায় কৌসুলি হিসেবে কাজ করেছেন প্রকাশ শ্রীবাস্তব।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে কোনও স্থায়ী বিচারপতি ছিলেন না। এই পর্বে হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন রাজেশ বিন্দল। তিনি সম্প্রতি এলাহাবাদ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হয়েছেন। ফলে তাঁর শূন্যস্থানে কলকাতা হাই কোর্টে আনা হয়েছে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের বর্ষীয়ান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবকে। কলকাতা হাই কোর্টের ৪৩তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে তিনি নিযুক্ত হলেন।
শপথগ্রহণে দেখা গেল না মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে তাঁর ক্যাবিনেটের হয়ে হাজির ছিলেন একাধিক মন্ত্রী। ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মলয় ঘটকেরা। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের যে মঞ্চ তার ডানদিকের সারিতে সরকার পক্ষের সঙ্গেই বসার ব্যবস্থা ছিল বিরোধী দলনেতার। শুভেন্দু অধিকারীর পাশের আসনটি ফাঁকাই পড়ে রইল। ওখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বসার ব্যবস্থা ছিল।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সময়টা চুপচাপই বসে থাকতে দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারীকে। মলয় ঘটক আর ফিরহাদ হাকিমকে মাঝে মধ্যে দু’এক বার কথা বলতে দেখা গেল। সেটাও নিজেদের মধ্যেই। কিন্তু এক চেয়ার পার করে বসে থাকা শুভেন্দুর দিকে না সরকার পক্ষের কেউই বিশেষ নজর দিলেন না। শুভেন্দুও তাঁর ডানদিকে খুব একটা ঘাড় ঘোরালেন না। মাঝে পড়ে রইল একটি হাই প্রোফাইল চেয়ার।